মনজু ইসলাম /রাসেলঃ
ভোলায় মিষ্টি বিতরণ চলছে। দুই ধর্ষক ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার ঘটনার খবর ধর্ষিতার এলাকায় আসার সাথে সাথেই আনন্দ উল্লাসে ফেটে পরে চরশ্যামাইয়ার জনগণ। তারা আনন্দ মিছিল এর সাথে সাথে বিভিন্ন দোকান থেকে মিষ্টি নিয়ে একে অপরকে খাইয়ে দিতে দেখেছেন আমাদের ভোলা নিউজের প্রতিনিধি মঞ্জু ইসলাম ও মোহাম্মদ রাসেল। এই মিষ্টি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধর্ষতার পরিবাসহ প্রতিবেসিরা। ১১ আগস্ট ঈদের রাতে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর নির্মমভাবে ব্লেড দিয়ে লজ্জাস্থানে মারাত্মক জখম করেছ ধর্ষকরা।
রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ধর্ষিতার বাবা ও স্থানীয়রা ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা ও রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে তারা ধর্ষিত শিশুটিকে রাতেই বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ধর্ষিতার বাবা জানান, তার মেয়ে ঈদের দিন রাতে মেহেদি লাগাতে গেলে তাকে ধর্ষকরা টেনন হেছড়ে পাশের পরিত্যক্ত বাসায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রক্ত বন্ধ না হওয়ায় ভোলা সদর মডেল থানার ওসি সগীর মিয়া নিজের পকেট থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে আমাদেরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল এ পাঠিয়েছে। ১৩ আগস্ট গতকাল রাতে আমার মেয়ের ২২ টি সেলাই দিয়েছে ডাক্তাররা। এর পরেও এখন পর্যন্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। প্রায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে আমার মেয়ের নিথর দেহ। এদিকে আজ সকালে ভোলা সদর হাসপাতালে এসে দেখি আমার মেয়ের দুই ধর্ষকের লাশ হাসপাতালে পড়ে আছে। তাদের একজন হলেন ধর্ষক মঞ্জু ও আরেকজন আল আমিন। এই দুই ধর্ষকের লাশ দেখে আমি মহান আল্লাহর কাছে আমার মেয়ের বিচারের জন্য যে ফরিয়াদ করেছি তার প্রাথমিক বিচার পেয়েছি বলে আমি মনে করছি। এদিকে ভোলার সুশীল সমাজসহ, সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ক্রীড়া সংগঠন, নারি সংগঠন, শিশু সংগঠনসহ ভোলার সাধারণ মানুষ এই ক্রসফায়ারের ঘটনা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে এই ক্রসফায়ারের ঘটনা শিশু ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত রাখবে বলেও ভোলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা মনে করছেন। তারা ভোলার প্রশাসন বিশেষ করে ভোলার নবাগত পুলিশ সুপার কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বন্ধুক যুদ্ধের মাধ্যমে আহত গুলিবিদ্ধ এই দুই চিহ্নিত ধর্ষকের লাশ দেখে।