শিক্ষা প্রতিনিধি #
ভোলায় থেমে নেই সরকারি শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য শ্রেনী শিক্ষকের কাছে পড়া বাধ্যতামূলক এমনটা জানিয়েছেন ভোলার বেশ কয়েকজন ভুক্তভুগী অভিভাবক। বিশেষ করে শ্রেনী শিক্ষকের কাছে না পড়লে ফেল করাতে ও এস বি এ নম্বর না দেওয়ার মানসিক চাপ দিয়ে কোচিং আসতে বাধ্য করার বিষয়টা যেন নতুন কিছু নয়।
জানা যায় শ্রেনী শিক্ষক বাংলা,শারিরীক শিক্ষা, সমাজ বিজ্ঞান, ধর্ম বিষয়ের হলেও প্রাইভেটের নামে কোচিংয়ে দিতে বাধ্য করে থাকেন, মনে হয় যে শ্রেনী শিক্ষক যেন ঐ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপর দখলদারদের মত আচরন করছেন, প্রায় ১০ বছর ১১ বছর একই শ্রেণীতে শ্রেনী শিক্ষক শিক্ষক দ্বায়িত্ব পালনের বিষয়টিও হতাশাজনক।।
প্রাইভেট ও কোচিং বন্ধের অভিযানে মাঠে নেমেছে ভোলা জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে মোট ৫ জন শিক্ষক গ্রেপ্তার করা হয় এবং অবশেষ জেল প্রেরণ করা হয়, যারা গ্রেফতার হয় তারা প্রায় সকলেই শিক্ষিত বেকার । কোচিং বানিজ্য চললেও পর্দার অন্তরালে সরকারি শিক্ষকদের কোচিং থেমে নেই এমটাই উঠে এসেছে ভোলা নিউজের গোপন ক্যামেরায় । বিশেষ করে ভোলা সরকারি স্কুলের কোয়ার্টার (কোচিং পাড়া) শ্রেণী শিক্ষক, নাজমুল হায়াত,জামাল উদ্দিন,আল মনির, আসলাম হোসেন, ফাতেমা বেগম, শাহিন প্রমুখ।
ভোলা সরকারি গার্লস স্কুলের শ্রেনী শিক্ষক আসলাম সানী,জামাল উদ্দিন,কামরুল ইসলাম, কামরুন নাহার, আব্দুর রহিম, মাহাবুব ইসলাম, মফিজুল ইসলাম, মিল্টন ও মিজানুর রহমান সহ বেশ কয়েকজন
এদিকে এ রব স্কুল শ্রেষ্ঠ কোচিং বানিজ্যিক শিক্ষক যার নাম মিডিয়ায় বার বার উঠে এসেছে সেই আলোচিত নুরুল ইসলামের নাম সবার জানা,পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও থেমে নেই, তালাশ টিমের চোখে মিললো বেশ কয়েকজন শিক্ষকের নাম, শিক্ষক পলাশ, সোহেল রানা,মাখন লাল,প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক মোসারফ হোসেন খুসরু।
অভিভাবকদের দাবী সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যামে এ সকল কোচিং বানিজ্যিক সরকারি বেতন ভূক্ত শিক্ষকদের তালিকা করে নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করলে বন্ধ হবে কোচিং বানিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সঠিক ফল বয়ে আনবে, বিশেষ করে বছর বছর শ্রেনী শিক্ষক পরিবর্তন করলে দখলদার বয়েজ গালর্সের শ্রেনী শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য বন্ধ হবে।
ইতোমধ্যে সকল ধরনের সরকারি শিক্ষকদের কোচিংয়ের তালিকা ও স্থান শনাক্ত করেছেন এবং কোচিং সেন্টারের তালিকা অনুসন্ধান করছেন ভোলা জেলা প্রশাসন, বলে জানিয়েছে এডিসি (শিক্ষা)
এডিসি আরো জানান,কোন কোচিং কত টাকা নেন এবং কি ধরনের শিক্ষক পড়ান তা অনুসন্ধানেও কাজ করবে প্রশাসন। যে কোন সময় তালিকা অনুযায়ী মাঠে নামবে প্রশাসন এবং বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে কঠোর নিদর্শনার পরেও বন্ধ হয়নি কোচিং বানিজ্য, আজও শহরের বেশ কয়েকটি অলিগলি ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে সাংবাদিক কর্মীদের।
জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট সাফ জানিয়েছেন,কোচিং বন্ধের অভিযান চলছে,যেখানে কোচিং সেন্টার খোলা দেখা যাবে সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আরো জানান,আপনার সাংবাদ কর্মীগন আমাদের তথ্য দিন,প্রশাসন মাঠে হস্তক্ষেপ করবে।
অন্যদিকে ভোলায় গ্রেপ্তার হয়নি সরকারি কোচিং বানিজ্যিক শিক্ষক শুধু বেকারদের কোচিংয়ে হানা দিয়ে হারায়নির অভিযোগ করেছে বলি জানিয়েছেন বেকারদের কোচিং এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অর্জুন দে।
তিনি আরো জানান,ভোলা বেশ নামি দাবী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন রমরমা কোচিং বানিজ্য চালালেও তারা যেন রয়ে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে।। আশা করি প্রশাসন কোচিং নীতিমালা পরিপন্থী সকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।