আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা: ভোলায় জেল থেকে বের হয়ে বাদীর পরিবারের উপর আসামিরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে বাদীর বসতঘর। আসামিদের হামলায় বাদী রুমা বেগম (৩৫), মেয়ে আছমা বেগমসহ (১৭) আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন। এরমধ্যে বাদী রুমা বেগম ও আছমা বেগমকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল চিকিৎসক জানিয়েছেন, লাঠির আঘাতে রুমা বেগম ও আছমা বেগমের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। আহত আছমা বেগম স্থানীয় হালিমা খাতুন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। রোববার মধ্যরাতে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর বাপ্তা গ্রামের হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভোলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আহত বাদী রুমা বেগম জানান, ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে প্রতিপক্ষ হাসনাহেনা রুবির বাড়ির উঠানে খেলতে যায় বাদীর ৮ বছরের শিশু তায়েবা। এসময় রুবি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তায়েবার উপর হামলা চালায়। হামলায় শিশু তায়েবার ডান হাত ভেঙে গেলে ১৮ ডিসেম্বর তায়েবার মা রুমা বেগম বাদী হয়ে রুবিকে প্রধান আসামি করে ৬জনের নাম উল্লেখ ও ৩ জনকে অজ্ঞাত করে ভোলা সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যাঁর মামলা নম্বর-৪২/২০২০। ১৯ ডিসেম্বর মামলার প্রধান আসামি হাসনাহেনা রুবিকে আটক করে ভোলা থানা পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ২২ ডিসেম্বর আদালত আসামি রুবির জামিন নামঞ্জুর করে তা ২৭ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়।২৭ ডিসেম্বর আসামি রুবির জামিন মঞ্জুর হলে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামি হাসনাহেনা রুবি, সিরাজ, মোশারেফ, ওমর ফারুক কাসেম, মাইনুদ্দিন, জোসনা বেগম, শাহানুর, সুমাইয়া ও রাবেয়াসহ ১০/১৫ জন বাদীর বসত ঘরে এসে বাদী ও তাঁর মেয়েকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বাহিরে এনে অতর্কিত হামলা চালায় আসামিরা। এসময় বাদীর বসতঘর ভাংচুরও করা হয়।খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহত রুমা বেগম ও তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আহতরা সুস্থ হলে মামলা করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।