বিশেষ প্রতিনিধিঃ এ বছর বর্ষায়, ভরা মৌসুমেও ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ফলে চরম হতাশায় দিন কাটছে তাদের।জেলেরা জানান, এসময় যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়ার কথা সেভাবে পাচ্ছেন না তারা। আবার যে পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন তাতে ট্রলারের তেলের খরচ উঠছেনা। ফলে দাদনের টাকা পরিশোধের বদলে দিন দিন ঋণের বোঝা বেড়েই চলছে।তবে জেলা মৎস্য বিভাগ বলছে, আগামী মাস থেকে জেলেদের জালে মিলবে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। আষাঢ়-শ্রাবণ ইলিশের ভরা মৌসুম।এই ভরা মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে জালে- এই আশায় ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়াসহ সাগর মোহনায় প্রায় ২ লাখ জেলে প্রতিদিন জাল ফেলছেন। কিন্তু তাদের জালে মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ। যা ইলিশ ধরা পড়ছে তা বিক্রি করে খরচের টাকাও অনেক সময় উঠছে না। সংসার খরচ জোটাতে পারছেন না অনেক জেলে। এমন অবস্থায় মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ তো দূরের কথা সংসার খরচ চালাতে গিয়ে দিন দিন ঋণের বোঝা ভারি হচ্ছে জেলেদের।সদর উপজেলার ইলিশা তেমাথা মাছঘাটের জেলে সাইদ আলী মাঝি। ১০ জন ভাগীদার নিয়ে গত শনিবার ভোরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সোমবার (২৬ জুলাই) ভোরে ঘাটে ফিরেছেন এক কেজি ওজনের দুইটি বড় ইলিশ মাছ এবং ৮টি জাটকা (ছোট ইলিশ)নিয়ে। বড় মাছ দুইটি বিক্রি করেছেন ২৫০০ টাকাএবং ছোট ৮টি বিক্রি করেছেন ৬০০ টাকায়।তার বরফ, তেলসহ অন্যান্য খরচ আছে দুই হাজার টাকা। বাকি ১১০০ টাকা ১০ জনে কীভাবে ভাগ করবেন?একই অবস্থা অপরাপর জেলেদের। এসব কথা জানিয়েছেন ওই মাছঘাটের আড়তদার মো: সেলিম, টিটব মোল্লাসহ অন্যান্য আড়তদার ও জেলেরা।এদিকে, ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম নদীতে মাছ কম এটা মানতে নারাজ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, নদীতে এখন জেলে ও জালের সংখ্যা অনেক বেশি। প্রত্যেকে একটি বা দুইটি করে পেলেও মাছের সংখ্যাটা কম নয়। তবে সব সময়ই জুন-জুলাইতে মাছ কম থাকে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে জেলেরা নদীতে আশানুরূপ মাছ পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।