ভোলায় জমি নিয়ে প্রতারণা

 

 

স্টাফ রিপোর্টার// ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দীঘলদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড জমি বিক্রি করে প্রতারণা করছেন স্থানীয় রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তি।ঘটনা সুত্রে জানা যায় স্থানীয় আওয়ামী মহিলা লীগের নেত্রী রেখা আক্তার ২০১৩ সালে স্থানীয় ৩ ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজ্জাকের কাজ থেকে১৬ শতাংশ জমি কিনে রেখা আক্তার। ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করার পরে পুনরায় ১২ শতাংশ জমি বিক্রির বায়না করেন রাজ্জাক। জমি বিক্রির ঘটনায় ১৬ শতাংর দলিল দেওয়া হলেও ১২শতাংশ জমির দলিল দিতে অনাস্থা প্রকাশ করেন রাজ্জাক। এ বিষয়ে রেখা আক্তারের স্বামী স্বপন বেপারী জানান, ২০১৩ সালে রাজ্জাকের কাছ থেকে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করি। ক্রয় কৃত ১৬ শতাংশ জমি কিছুদিন পরেই রাজ্জাক আমাদের দলিল করে দেন। বর্তমানে ক্রয় কৃত জমিতে একটি বসতঘর উত্তোলন করি। বসতঘর উত্তোলন করার সময় রাজ্জাক কাজে বাঁধা দেয় পরে আমি ভোলা ১আসনের এমপি মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব তোফায়েল আহমেদের কাছে গেলে তার সহযোগিতায় ঘর উত্তোলন করতে পারি। কিন্তু ১২শতাংশ জমি বিক্রি করার কথা বলে যে বায়না পত্র চুক্তি করেছেন আমার সাথে সেটা এখন অস্বীকার করছেন রাজ্জাক। এ বিষয়ে রেখা আক্তার বলেন, ২০১৩ সালে রাজ্জাক জমি বিক্রি করবে বলে আমার কাছে আসে। পরে জমি বিক্রির কথা বললে আমি ইচ্ছা প্রকাশ করি জমি কিনের জন্য।এসময় ১৬ শতাংশ জমির বায়না কররার কিছুদিন পরই দলিল দেওয়া হয়। পরে পুনরায় আবার ১২ শতাংশ জমির বায়নাপত্র করেন আমার সথে। বর্তমানে ১২শতাংশ জমির দলিল দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বিএনপি-জামায়াত আমলে সন্ত্রাসী রাজ্জাক। বর্তমানে দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও আমি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছি। কষ্টের টাকা দিয়ে জমি কিনে দখলে যেতে পারছিনা।
তিনি আরো বলেন আজকে ৪/৫ বছর ধরে ১২ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দলিল দিচ্ছি বলেও দিচ্ছে না রাজ্জাক। জমির মালিক রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, ২০১৩ সালে রেখা আক্তারের কাছে উত্তর দিঘদী ৩নং ওয়ার্ড থাকা আমাদের ১৬ শতাংশ জমির বায়না পত্র করি। তার কিছুদিন পরেই রেখা আক্তারের নামে জমির দলিল দিয়ে তাকে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে সে আরো ১২ শতাংশ জমির বায়নাপত্রের কথা বলে যে জমি দাবি করে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রাজ্জাক আরো বলেন, ৪ থেকে ৫ বছর আগে ভোলার আদালতে স্টাম্প জালিয়াতির মামলা দায়ের করে রেখা আক্তার।গত ২০২০সালের (৭ ডিসেম্বর) আমার বিরুদ্ধে স্টাম্প জালিয়াতির মামলা আদালত খারিজ করে দেয়।

SHARE