বিপ্লব ভোলা প্রতিনিধি!
ভোলায় ছিনতাইসহ পৃথক পৃথক হামলার ঘটনায় ৯ জন আহত হয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ঘটনায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মহিলাসহ ৪ জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকার সকাল সাড়ে প্রায় ৮ টার সময় ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ড বারোতারিখ নামক এলাকা সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানিয়েছে, শরিফ রাস্তা দিয়ে নাস্তা খেতে দোকানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। এসময় পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী সিদ্দিকসহ কয়েক জন শরিফের গতিরোধ করে শরিফকে গালিগালাজ করে। এর পর শরিফ তার বড় ভাইকে ডাকদিলে বড় ভাই জুয়েল এগিয়ে এসে গালিগালাজের কারন জানতে চাইলে সিদ্দিকসহ আক্তার ইয়ামিন, মমিন রিয়াজ, কামাল, কুসুম, আখিঁসহ কয়েকজন শরিফ ও তার ভাই জুয়েলের উপর হামলা চালায়। শরিফ ও জুয়েলের ডাক চিৎকারে অন্যভাই ফরহাদ, মা জোস্না, বোন মমতাজ এগিয়ে এলে তাদেরকেও স্থানীয় লাল মিয়াসহ তাদের লোকজন কামালদের ফসলি জমির উপর দিয়ে ফসল নষ্ট করে নিয়মিত গরু নিয়ে যাইতো। জমির ফসল নষ্ট হয় বলে কামালেরা বেশ কিছু দিন ধরে ঐ জমির ফসল নষ্ট না করার লাল মিয়াদেরকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু লাল মিয়া ক্ষমতা দেখিয়ে আজ সকালেও প্রতিদিনের মতো ঐ জমির উপর দিয়ে গরু নিচ্ছিলো। এসময় কামাল লালমিয়াকে আবারো নিষেধ করলে লাল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তেজিত হয় এবং দুজনের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়। এক পর্যায় লালমিয়া ও তার সাথে থাকা স্ত্রী কামালের উপর হামলা চালায়। কামালের ডাক চিৎকারে কামালের স্ত্রী মোরশেদা এগিয়ে এলে তার উপরেও হামলা চালিয়ে তাকেও আহত করে। এভাবে পর্যায় ক্রমে কামালের মা ও কামালের ছেলে মোসলেউদ্দিনকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।
দ্বিতীয় ঘটনায় ভোলায় দিন দুপুরে মানুষ ভরা স্থানীয় বাজার থেকে প্রকার্শ্যে বিল্লাল নামের এক এনজিও কর্মীর টাকা ছিনতাইয়ের গঠনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বেলা ১২টার সময় সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার বটতলা নামক এলাকায় এ গঠনা ঘটে।
আহত সূত্রে জানাগেছে, ঐ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কন্দকপুরের আবুল বসার চৌকিদার তারা ছেলে বিল্লালকে ধারের টাকা পরিশোধ করতে তার এক আত্মিয়ের বাড়িতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে পাঠায়। বিল্লাল সেই টাকা নিয়ে জনতা বাজার এলাকার বটতলা পৌছলে পিছন থেকে একই এলাকার নজরুল ইসলাম জমাদারের ছেলে এজাজুল ইসলাম তাকে হঠাত একের পর এক আঘাত করতে থাকে। আঘাতে বিল্লাল মাটিতে লুটিয়ে পরলে এজাজুল বিল্লালের কাছ থেকে অনেক ঝাপটা ঝাপটি করে ২০ হাজার টাকা এবং ২০ হাজার টাকার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা ছুটে এলে এজাজুল দ্রত্য স্থান ত্যাগ করে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, বিল্লাল ও তার পরিবার তাকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তিনিও লোক মারফতে জেনেছেন যে ঘটনা সত্য। বিষয়টি নিয়ে মামলারর প্রস্তুতি চলছে বলে যানা গেছে। এর মধ্যে তৃতীয় ঘটনায়ও তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলাসহ ৪জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বর্তমানে আহতরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮ টায় ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউপির ৪নং ওয়ার্ড ফেরীঘাটের সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা জানিয়েছে, স্থানীয় লাল মিয়াসহ তাদের লোকজন কামালদের ফসলি জমির উপর দিয়ে ফসল নষ্ট করে নিয়মিত গরু নিয়ে যাইতো। জমির ফসল নষ্ট হয় বলে কামালেরা বেশ কিছু দিন ধরে ঐ জমির ফসল নষ্ট না করার লাল মিয়াদেরকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু লাল মিয়া ক্ষমতা দেখিয়ে আজ সকালেও প্রতিদিনের মতো ঐ জমির উপর দিয়ে গরু নিচ্ছিলো। এসময় কামাল লালমিয়াকে আবারো নিষেধ করলে লাল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উত্তেজিত হয় এবং দুজনের মধ্যে কথা কাটা কাটি হয়। এক পর্যায় লালমিয়া ও তার সাথে থাকা স্ত্রী কামালের উপর হামলা চালায়। কামালের ডাক চিৎকারে কামালের স্ত্রী মোরশেদা এগিয়ে এলে তার উপরেও হামলা চালিয়ে তাকেও আহত করে। এভাবে পর্যায় ক্রমে কামালের মা ও কামালের ছেলে মোসলেউদ্দিনকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।