বিশেষ প্রতিনিধি।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান এর মানবতায় সংসার ফিরে পেলো ২ সন্তানের জননী।
সূত্রে জানা যায়, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার লালগঞ্জ এলাকার জামাল হাওলাদার এর ছেলে ফিরোজের সাথে ৬ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মানসিক রোগী আবদুর রশিদ এর মেয়ে সাথী বেগমের সাথে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা কাবিনে বিবাহ হয়।
৬ বছরের দাম্পত্যজীবনে আবদুল মোতালেব (৫) ও জামিলা (২) বছর বয়সী দুইটি সন্তান রয়েছে।
এর মধ্যে ফিরোজ ও সাথীর দাম্পত্য সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়ে যায়।
আদালতের বিচারক বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান এর কাছে পাঠান।
চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকজন কে ডেকে দুইটি অবুঝ শিশু এবং মহিলা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা দেখে তিনি বর ফিরোজ কে অনুরোধ করেন সংসারটি টিকিয়ে রাখতে এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ছেলে পক্ষ কে নগদ ৫ লক্ষ টাকার চাপ প্রয়োগ করেন এই মর্মে, এই মেয়েকে তালাক দিতে হলে তোমার ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
৫লক্ষ টাকার কথা শুনে ছেলের পক্ষ মেয়ের সাথে আপোষ হয়ে যান আর টিকে যায় ২ সন্তানের জননী সাথীর সংসার।
হাসোজ্জল সাথী ও তার স্বামী ফিরোজ এই প্রতিবেদক কে বলেন ভাই আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখুক চেয়ারম্যান মিজান খাঁন কে ইনি আমাদের সংসারটি টিকিয়ে দিয়েছেন।
বর ফিরোজ বলেন ভাই আমি ভুল করেছি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে তা সংশোধন হয়েছে আমি আমার স্ত্রী কে নিয়ে সংসার করবো।
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খান বলেন, আমার মেয়ের অবস্থা দেখে মায়া লেগেছে তা ছাড়া আমি কোন তালাকের পক্ষে না তাই ছেলের পক্ষ কে ৫ লক্ষ টাকার চাপপ্রয়োগ করেছি যে সাথী কে ২ সন্তান ও গর্ভে একটি সন্তানসহ তালাক দিতে হলে নগদ ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, আমি জানি ৫ লক্ষ টাকার চাপপ্রয়োগ করলে ২ সন্তানের জননীর সংসার টিকে থাকবে আর আল্লাহ রহমতে তাদের মধ্যে এখন মিল হয়েছে সংসার ও ফিরে পেয়েছে সাথী ফিরোজ দম্পতি।