ভোলায় চলছে খাল দখলের মহাউৎসব

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম বাজারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত খালের মধ্যে অবৈধভাবে পাকা পিলার তুলে দোকানঘর নির্মাণ করছেন স্থানীয় আবু তাহের। প্রকাশ্যে এ ঘর তুলেলও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে স্থানীয় সচেতন লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, মনিরাম বাজারের পশ্চিম পাশের সিকদার হাট যওয়ার পাকা সড়কের পাশে ১০-১২ ফুট প্রশস্ত মনিরাম খাল। খালের ৮-৯ ফুটের দখল করে পাকা পিলার তুলে ৫/৬টি ঘর নির্মাণ করছেন টবগী ইউনিয়নের মূলাইপত্তন গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবু তাহের। এ ব্যাপারে আবু তাহের বলেন, তিনি এ খালের মধ্যে ঘর তুলছেন তা রেকর্ডীয়। এ জমি ক্রয় করছেন। স্থানীয় লোকজন জানায়, খালটি এ এলাকার কৃষি জমির পানির চাহিদা পূরণ করে।
কিন্তু একদল দখলবাজ একের পর এক দখল করে ফেলেছে। ফলে খালটি ভরাট হয়ে নাব্য হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমে খাল খালে পানি থাকে না। আর পানির জন্য চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। দখলবাজরা প্রভাবশালী হওয়া প্রতিবাদ করার সাহস করেন না কেউ। এ ব্যাপারে উন্নয়ন বোর্ডের বোরহানউদ্দিনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া জানান, উপজেলায় অবৈধ দখলদারদের তালিকা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তারা সরজমিনে যাবেন। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জিতেন্দ্র কুমার নাথকে গত রোববার জানানো হলে তিনি বিষয়টির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে টবগী তহসীলদার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে খাল দখলদার নূরনবী পাটোয়ারী, মো. হোসেন, আবদুুল হাই, মনির আহম্মদ, আবুবক্কর ছিদ্দিক, কালাম মাস্টার, রতুল মোল্লা, হারেছ মৌলভী, মাওলানা মাকসুদ, মো. সোহাগ, জসিম হাওলাদার, জুলু দফাদার, সাহাবুদ্দিন, আজগর, রতন মিয়া, রাজ্জাক, হানিফ, কবির, সোহাগ দফাদার সিরাজুল ইসলাম সহ অনেকে বছরের পর বছর অবৈধভাবে খালটি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। ২ বছর আগে অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসন নোটিশ করলেও তা প্রভাবশালীদের কারণে আলোর মুখ দেখেনি। ফলে অবৈধ দখলদার নির্ভয়ে খাল দখল করে আছে।

SHARE