ভোলায় কোস্টগার্ড বলছে জলদস্যু জেলেরা বলছে নাটক

মনজু ইসলাম/ টিপু সুলতানঃ

ভোলা সরদ উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের মেঘনার বঙ্গেরচর এলাকা থেকে দেশিও অস্ত্রসহ ২ জলদস্যুকে কে আটক করে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন। তবে আটককৃতদের পরিবার তাদের জেলে হিসেবে দাবী করেছেন। এবং উদ্ধারকৃত রামদা সাজানো নাটক বলেও সাংবাদিকদের কাছে দাবী করেছেন আটককৃতদের পরিবার ও স্থানীয় জেলেরা।

শনিবার দিবাগত রাতে মেঘনার রাজাপুরের বঙ্গেরচর পয়েন্ট থেকে এই দুই জলদস্যুকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর এলাকার বাহাদির (৩৮) ও কামাল (৩২)।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ভোলা নিউজকে জানায়, গভীর রাতে মেঘনার বঙ্গের চর এলাকায় দুইদল দস্যুর মধ্য বন্দুকযুদ্ধ চলছে এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি টিম বঙ্গেরচর পয়েন্টে অভিযান চালায়। কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুই জনকে আটক করে কোস্টগার্ড। ঘটনাস্থল থেকে ৯টি রাম দা উদ্ধার করা হয়।

এদিকে আটককৃতরা সাধারন জেলে তাদের দেশী রামদা উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে কোস্টগার্ড জলদস্যু বানিয়ে থানায় চালান করে রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে রাজাপুর ইউনিয়নের ১০-১৫ জন জেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে রাজাপুরের মাইদুল ও রুবেল নামে দুই জেলে বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারি) সারাদিন তারা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বঙ্গেরচর এলাকার মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে রাতে বঙ্গেরচর মাছ ঘাটের কাছে একটি খালে মাছ, জাল ও নৌকা নিয়ে রাত্রিযাপন করেন। এ সময় তাদের নৌকার কাঁথা-কাপড় ভেজা থাকায় নৌকার জেলে আব্দুল গফুর ও কামাল রাঢ়ী ওই ঘাটের মিজান খানের আড়ৎ এ গিয়ে ঘুমান।

পরবর্তীতে রাত দেড়টার দিকে কোস্টগার্ডের একটি ট্রলার মাহিদুল মাঝির নৌকার কাছে গিয়ে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে তাদের ট্রলার নিয়ে যায়। এ সময় কোস্টগার্ড তাকে রাত ৯টার দিকে ১০০ রাউন্ড গুলি বর্ষণের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি শুনেননি বলে জানান। পরে কোস্টগার্ড তাকে ট্রলারে রেখে মাছ ঘাটের দিকে যায় এবং সেখান থেকে জেলে আব্দুল গফুর ও কামাল রাঢ়ী এবং ঘাটে থাকা মাছ ব্যবসায়ী বাহাদুর বেপারীকে ধরে নিয়ে আসে।

তারা মাহিদুল মাঝিকে ছেড়ে দিয়ে ওই তিনজনকে নিয়ে চলে আসে এবং তাদেরকে সকালে ৯টি রামদাসহ জলদস্যূ হিসেবে ভোলা থানায় চালান দেয়।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলেরা এ ঘটনার তদন্তপূর্বক আটকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন।

অপরদিকে রোববার সকালে ভোলার খেয়াঘাট রোডে অবস্থিত কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অপারেশন অফিসার লে. ওয়াসিম আকিল জাকির জানান, শনিবার দিবাগত রাতে রাজাপুরের বঙ্গের চর এলাকায় একটি মাছের আড়তে দেশি বন্দুক ও অস্ত্রসহ দুই দল ডাকাত ডাকাতি করতে আসে। এ সময় ডাকাতদের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে গোলাগুলি ও সংর্ঘষ হয়। ওই সময় স্থানীয়রা কোস্টগার্ডকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯টি বড় রামদাসহ দুইজনকে আটক করে। এছাড়াও বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।

এ ঘটনায় রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান খান জানান, তার বঙ্গের চরের ঘাটটি গত অক্টোবর মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। ওই ঘাটে কোনো মাছ বেচা-বিক্রি হয় না। আর সেখানে রাতে কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও কোস্টগার্ড কর্তৃক আটকরা সাধারণ জেলে বলেও দাবি করেন চেয়ারম্যান মিজান খা।

দেশীয় রামদা উদ্ধার ও কোষ্ট গার্ডের ওই দিন রাতের অভিযান নিয়ে কাজ করছেন আমাদের ক্রাইম রিপোর্টাররা প্রকৃত ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আসছে।  ওই দিন রাতের অভিযানের ভেতরের খবর জানতে সাথে থাকু ভোলা নিউজের……

SHARE