নিউজ ডেস্ক।।
ভোলার চরফ্যাশনে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ মার্চ) দিনগত রাত দুইটার দিকে নিজ বাসার সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে চরফ্যাশন থানা পুলিশ। মৃত সাসাতি রায় চৈতি বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা মনোজ কুমার চন্দ্র মজুমদার শাওনের স্ত্রী। চৈতির পরিবারের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চৈতির শ্বশুর সমীর চন্দ্র মজুমদার ও স্বামী শাওনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
চৈতি একই এলাকার স্কুলশিক্ষক সুভাষ চন্দ্র রায়ের মেয়ে। ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে মৃত চৈতির বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, আমার মেয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী। শাওনের সঙ্গে এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও স্বামী দীর্ঘদিন ধরে যৌতুকের দাবিতে তাকে নির্যাতন করে আসছে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবেই চৈতিকে হত্যা করেছে তারা।
তবে মেয়ের শ্বশুর গ্রেফতার সমীর চন্দ্র মজুমদার বলেন ভিন্ন কথা। শাওন এক প্রতিবেশীর বিয়ের অনুষ্ঠানে না নিয়ে যাওয়ায় অভিমান করে চৈতি আত্মহত্যা করতে পারে বলে জানান তিনি।
স্বামী শাওন মুজমদারও বলেন একই কথা। তিনি জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রাত ১টায় বাসায় ফিরে একাধিকবার দরজা নক করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখা যায়, নিজের শাড়ি গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে তার স্ত্রী। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। চরফ্যাশন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান জানান, রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চৈতির মরদেহ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বলা যাবে এটি খুন নাকি