মনজু ইসলাম /রাসেল
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পৃথক অষ্টম শ্রেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী (১৩) ও এক বিধবা (৩৫) নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমাণে ধর্ষিতারা ভোলা সদর
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
ধর্ষিতাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে স্কুল ছাত্রীর মা তাকে রেখে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় তার পিতা নদীতে মাছ শিকারে যায়। এ সুযোগে একই
এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে মোঃ সোহাগ ছাত্রীকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। এসময় তার পিতা ছালাউদ্দিন বাড়ি আসলে তার মেয়ের ডাকচিৎকার শুনতে পায়। ওই সময় ধর্ষক তার পিতাকে মারধোর করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা আজ শুক্রবার বিকেলে
বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়ের করে। অপর দিকে একই উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ফুল কাচিয়া গ্রামের
বিধবা নারী (৩৫) তার স্বামী নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর স্বামীর বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিল। আজ শুক্রবার রাতে দিকে ওই নারী তার মুরগীর খামারের খাবার দিতে গেলে ওই এলাকার মাদক সেবী মাকসুদ, ছালাউদ্দিন ও আলমগীর তাকে মূখ চেপে
পাশ্ববর্তী গরুর খামারে নিয়ে হাত পা বেঁধে গণধর্ষণ করে। পরে সকালে স্থানীয়রা তাকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে ধর্ষিতার বড় বোন বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছেন। ভোলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স জানান, ধর্ষিতাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।রবোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোঃ এনামুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্কুল ছাত্রীর ধর্ষণের বিষয়ে ছাত্রীর বাবা ৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এবং অপর ধর্ষণের বিষয়ে এখন কোন অভিযোগ থানায় আসেনি।
তিনি আরো জানান, আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।