মনজু ইসলামঃ
ভোলার মিডিয়া কিং আহাদ চৌধুরী তুহিন। একজন প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক তিনি। গতকাল ভোলার একটি অফিসের এক কর্তাব্যক্তির নানা অনিয়ম তুল ধরেছেন তার নিজের ফেইসবুক পেইজে। আমরা এই আদর্শ সাংবাদিকের স্টাটাসটি ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরলাম……
কি দেখার কি দেখছি—
============================
দেশের গুরুত্বপূর্ন একটি ডিপার্টমেন্টের ভোলার দক্ষিনের এক উপজেলার কর্মকর্তা যিনি নিয়মিত অফিস করেননা। প্রায়শ ষ্টেশনেই থাকেননা। তার দু’জন সহকারি আছেন তাদের অবস্থা ও তথৈবচ। ফলশ্রুতিতে ঐ অফিস সংশ্লিষ্ট লোকজনের দুর্ভোগের সীমা নেই। কয়েকজন ভুক্তভোগী বিষয়টি আমাকে জানিয়ে অনুরোধ করেন আমি যেন ভোলার দায়িত্বশীল কয়েকজন সাংবাদিককে নিয়ে সরজমিনে এসে পত্রিকায় রিপোর্ট করি। বিষয়টি আমি প্রথমে আমলে নেইনি। এরমধ্যে একজন ভুক্তভোগী (যার পিছনে রয়েছে বড় রাজনৈতিক ক্ষমতা) তিনি যখন আমাকে খুব অনুরোধ করেন,তখন তার কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে সাংবাদিকতার ইথিক্স অনুযায়ী অভিযুক্তের বক্তব্য জানার জন্য তাকে ফোন দেই । অত্যন্ত বিনয়ের সাথে তাকে বলি আপনার বিভাগের সংশ্লিষ্টি লোকজন আপনার সম্পর্কে এধরনের অভিযোগ করছেন আসলে বিষয়টা কি। উত্তরে তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রী পরিবারের আত্বিয় প্রভাবশালী এক সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ করে বলেন তিনি তার ভাই এবং একজন সাবেক মন্ত্রী পুত্রের নাম উল্লেখ করে বলেন তিনি তার বন্ধু। তার উত্তরটা শুনে আমি অবাক হইনি। কারন দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমে গত তিন দশকের অধীক সময়ে কাজ করার সুবাদে এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি অনেকবার হয়েছি। যাইহোক বিষয়টি আমি ঐ ডিপার্টমেন্টের জেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন এ ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। পরে খোজ নিয়ে জেনেছি অভিযুক্ত কর্মকর্তার নামে ঐ সাংসদের আপন কোন ভাই নাই তবে তারা এক জেলার বাসিন্দা। আর যেই সাবেক মন্ত্রী পুত্রকে তার বন্ধু বলে পরিচয় দিয়েছেন তারা কখনই এক সাথে বা একই ক্লাসে পড়েননি। দুইজন দুই ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন। * মন্তব্যের দায়িত্ব পাঠকের*