আকতারুল ইসলাম আকাশঃ-
ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডের আলোচিত সেই দুলাল ভিক্ষুককে সরকারি ঘর দিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন।
বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে “আজও ঘর পায়নি ভোলার সেই ভিক্ষুক” এই শিরোনামে সচিত্র সহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি তরুণ সাংবাদিক মোঃ আকতারুল ইসলাম আকাশ তার ফেসবুকে সংবাদটি আপলোড দেন। যা মহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পায়। অবশেষে ওই সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হয় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) মো. কামাল হোসেনের।
সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তিনি রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. মিজানুর রহমান মিজান ও স্থানীয় মেম্বার মো. মিলনকে সাথে নিয়ে ভিক্ষুক দুলালের পরিবারকে দেখে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে স্থানীয় মেম্বার মিলনকে একটি কমিটি করার নির্দেশ দেন। সেই কমিটির নির্দেশ মোতাবেক দুর্যোগ সহনশীল সংস্থা থেকে ভিক্ষুক দুলাল কে তৈরি করে দেওয়া হয় একটি পাকা ঘর।
এদিকে নির্বাহী এই কর্মকর্তার এমন মানবিক উদারতা দেখে স্থানীয় মানুষের মুখে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তার এমন মানবিক উদারতা মানবতাকে বহু দূর এগিয়ে নিবে বলে আশ্বাস স্থানীয়দের।
রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো. মিজানুর রহমান মিজান ও স্থানীয় মেম্বার মো. মিলন বলেন, ভিক্ষুক দুলালকে আমরা সবসময় সাহায্য করার চেষ্টা করবো। তার পরিবারের প্রতি আমাদের সু-নজর থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ কামাল হোসেন জানান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক হতদরিদ্র দুলালকে একটি ঘর দিয়ে তার একটি বাসস্থানের অভাব পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এই জন্য আমরা খুবই আনন্দিত। এবং আমরা আশা করছি দুলালের মতো এমন অসহায় হতদরিদ্রে মানুষের পাশে আমরা সবসময় সাহায্য নিয়ে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে ঘর পেয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন ভিক্ষুক দুলালের পরিবার। শনিবার ঘরের কার্যক্রম দেখতে ভিক্ষুক দুলালের বাড়িতে গেলে সাংবাদিকদেরকে দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলেন, আপনাদের সাংবাদিকদের কারনেই আমার পরিবার বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন।