ভোলায় আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর দফায় দফায় সংর্ঘষ ৮ অফিস ভাংচুর আহত-২০

মন্জু ইসলাম.তজুমদ্দিন থেকে ফিরেঃ

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় পক্ষের ৮টি নির্বাচনী অফিস ও ২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,মটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমার রাত ১২ টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হামলা মারধরও ও সহিংস ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে উভয় পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে হামলা ও সংঘষের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার রাত ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ানের কর্মীরা লাঠি সোটা নিয়ে মঙ্গল সিকদার উত্তর বাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলালের ২টি নির্বাচনী অফিস ও সমর্থকদের একটি ইলেকট্রনিক্স এর দোকান ভাংচুর করে। ঘটনার পর থেকেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। থেমে থেমে রাতভর চলে উভয় গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ। উত্তর চাচড়া, ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় দুই গ্রæপের মধ্যে সংর্ঘষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর ২টি অফিস ভাংচুর করা হয়। এসময় একটি ঔষধের দোকানেও হামলা চালানো হয়। এ ছাড়াও চর মোজাম্মেলে বিদ্রেহী প্রার্থীর ৩টি অফিস ভাংচুরের অভিযোগ যাওয়া গেছে। অন্য দিকে মঙ্গল সিকদার বাজারে একটি মটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সময় সংর্ঘষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৯ জনকে আটক করে।
তজুমদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহমেদ জানান, সংর্ঘষের ঘটনায় ৯জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ১২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

SHARE