এম জামিল হোসেন
ভোলায় অসহায় ও গরীব স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ইকবাল ছোট বেলা থেকেই লেখা-পড়ার পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ইচ্ছা ছিন্নমূল, অসহায় এবং গরীব শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা। তার এই ইচ্ছাকে তিনি বাস্তবায়ন করে চলছেন। তাই তিনি ব্যবসার পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার জন্য ভোলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ‘গ্রামীণ মানব কল্যাণ সংস্থা’ নামে নিবন্ধন আনেন। নিবন্ধন নং-২৪৪/২০০৭। তার এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি ভোলা সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের বিভিন্ন সময়ে সাহায্য-সহযোগীতা করে যাচ্ছেন।
এরই অংশ হিসেবে তিনি তার নিজ বাড়ীতে গড়ে তোলেন ছিন্নমূল, অসহায় ও গরীব শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠশালা। এখানে তিনি অসহায় ও গরীব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পড়া-লেখা করান। যারা টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়তে পারেন না সেই সমস্ত স্কুল শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন বিনে পয়সায়। শুধু শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা নয়, তিনি তাদের জন্য প্রতি বৃহস্পতিবার টিফিনের ব্যবস্থাও করেন। তার এই মহত উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার দেলোয়ার হোসেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান বশির আহমেদ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তার নিজস্ব উদ্যোগে এই ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংশা করেন তারা।
১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে তার বাড়ীর উঠানে অসহায় ও গরীব শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলীনগর ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান বশির আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এসময় গ্রামীণ মানব কল্যাণ সংস্থার কার্য নির্বাহী সদস্য শ্যামল চন্দ্র, দীপক চন্দ্র বালা, মেহেদি হাসানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ইকবাল হোসেন ঢাকার উত্তরায় টাইলস্ এন্ড স্যানেটারীর ব্যবসা করছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে তিলোত্তমা মোজাইক এন্ড স্যানেটারী। স্কুল শিক্ষার্থীদের বিনে পয়সায় পড়ালেখার পাশা-পাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে হচ্ছে রাস্তার দু’পাশে পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগানো, অবহেলিত রাস্তা-ঘাট সংস্কার, অসহায় গরীব মেয়েদের বিয়ে দেয়া এবং গরীবদের গৃহ নির্মাণ করাসহ অসংখ্য সামাজিক কার্যক্রম। তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই এ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তার এই কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন।