মনজু ইসলামঃঃ-
নদীর পরে থাকা অসহায় পরিবারের চলছে চরম দুর্দিন। যেন দেখার মত কেউ নেই। তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন তান্ডবে বাপ-দাদার বসতভিটা আর
সহায়সম্পদ হারিয়ে অসহায় হয়ে জীবন যাপন করছেন নদীর পারের বাসিন্দারা।
এমনটাই দেখা যায়,ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আয়েব আলী কে।তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে হারিয়েছেন বসতবিটা ও ফসলি জমি। নিঃস্ব এই পরিবারটি অসহায়ত্বের মধ্য দিয়ে পাড়ি দিচ্ছে বয়সের শেষ অধ্যায়। নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে বৃদ্ধ এই পরিবারটি বসবাস করছেন সরকারি রাস্তার উপর। জমি কেনার সামর্থ্য না থাকায় ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটের উত্তর পাশের রাস্তাই হয় বসবাসের শেষ ঠিকানা।গত ৪বছরেরও বেশি সময় দোরে বসবাস করে করছেন এই রাস্তার উপর।ছেলে না থাকায় একটি মাত্র মেয়ে বিলকিস বেগম এর সাথেই থাকেন আইয়ুব আলী।
মেয়ের জামাই শরিফ পেশায় একজন ছোট মাছ ব্যবসায়ী। নদীতে থাকা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনে এলাকার বাজার ও ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে বিক্রি করে থাকেন। সারাদিনের মাছ বিক্রি থেকে যে টাকা আয় হয় নিজের সংসার ও শশুর শাশুড়ির খরচ চালিয়ে নেয় মাছ বিক্রেতা শরিফ। আর্থিকভাবে শরিফ তেমন স্বচ্ছ না শশুরের মতন হারিয়েছেন তার ও বসতভিটা সহায়-সম্পত্তি।
আইয়ুব আলী ভোলা নিউজকে বলেন,নদী ভাঙ্গার পর থেকেই সরকারি রাস্তার উপর বসবাস করছি। ছেলে না থাকায় মেয়ের জামাইয়ের উপর নির্ভর করতে হয় আমাদের। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হলেও সেখান থেকে বঞ্চিত হই আমরা।আমাদের মতো গরীব অসহায় মানুষদের কপালের মিলছেনা সরকারি কোন অনুদান।
এলাকার বাসিন্দা মিরাজ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আইয়ুব আলী দাদা এই সরকারি রাস্তার উপর বসবাস করছে।নদী ভাঙ্গার কবলে হারিয়েছেন বাপ-দাদার থেকে পাওয়া বসতভিটা। জমি কিনার সামর্থ্য না থাকায় বৃদ্ধ বয়সের ঠিকানা হয় সরকারি রাস্তা। ইউনিয়ন পরিষদে আর্থিক অনুদান আসলেও মিলছে না অসহায় গরীব মানুষের কপালে।
ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মাস্টার জানায়, তেতুলিয়া নদী ভেদুমিয়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বহমান।৫-৬-৭এই তিনটা ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নদী ভাঙ্গনে সবসময়ই চিন্তিত থাকেন। এ পর্যন্ত নদী গর্ভে বিলীন হয়েছেন অসংখ্য বসতভিটা ও ফসলি জমি। অনেকে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ছেড়েছেন এলাকা পাড়ি দিচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। অসহায় আইয়ুব আলীর বিষয়টা আপনার মাধ্যমে আমার নজরে এসেছেন। আমি চেষ্টা করবো ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য অনুদান দেওয়া। যাতে করে বৃদ্ধ বয়সের শেষ জীবনটা সুন্দর ভাবে কাটাতে পারেন আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে সেই ব্যবস্থা করা হবে। আশা করছি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে অসহায় আইয়ুব আলীর পরিবারের।
মনজু ইসলাম
চীফ রিপোর্টার
ভোলা নিউজ।
১৮/১/২০২০