আরিফুর রহমানঃ
ভোলার আদালতে জামিন মেলেনি হোয়াইট কালার ক্রিমিনাল বহিস্কৃত অধ্যক্ষ নিজাম উদাদিনের। গতকাল আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলে রাখার নির্দেশ দেন! এদিকে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য আদালতে দরখাস্ত করেছে ভোলা থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাদিক গুরুত্বপুর্ণ মামলায় জিজ্ঞাসার প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনেকরছে ভোলার পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেন।
ভোলার ভুয়া অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন ঢাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছে। এদিকে নিজাম উদ্দিনের গ্রেফতারে ভোলায় শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে তার গ্রেফতারে সাধুবাধ জানালেও অনেকে এতো বড় মাপের একজন দুর্নীতিবাজরে এতো দিরে করে গ্রেফতারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার গ্রেফতারে আনন্দ মিছিল হয়েছে তার নিজ কলেজসহ ইলিশা এলাকায়।
এর আগে ভোলায় ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মামলা করেছে গভর্নিং বডির অভিবাবক সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম। ১৬ জুলাই ভোলা সদর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে জাল জালিয়াতির এ মামলা দায়ের করেন তিনি। ভোলার বহুল আলোচিত অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের আগেই নিয়োগ লাভ, পকেট কমিটি কলেজের জমি ও অর্থ আত্নসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধ। এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে এই মামলাবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। জাতিয় বিশ্ব বিদ্যালয় তার এসব দুর্নীতির প্রমান পেয়ে তার ভৌতিক ভাবে করা ভুয়া গভর্নি বডির কমিটি বাতিল করে কলেজের অভিবাবক ও শিক্ষকরা ও এলাকাবাসি ভোলার ক্লিন ম্যান খ্যাত মইনুল হোসেন বিপ্লব কে সভাপতি করে একটি নিয়মিত কমিটি করে ভোলার ইসলামিয়া মডেল কলেজকে পরিচালনার জন্য। এই কমিটির বাতিল করে পূর্বের ভৌতিক কমিটি বহালের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দাখিল করেন। এই রিট পিটিশনে অভিবাবক ড সদস্য নুরুল ইসলাম পিতা তোফাজ্জলকে আবেদনকরী করা হয়েছে। নুরুল ইসলাম ১৬.০৭.১৮ তারিখে ভোলা সদর মডেল থানায় হাজির হয়ে তার নাম ব্যাবহার করে এধরনের প্রতারণা মুলক রিট পিটিশন দাখিল করার জন্য জাল জালিয়াতির মামলা করেন বিতর্কিত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধ যার ভোলা থানা মামলা নং ৪৯ /২০১৮।
এ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোক্তার হোসেন জানান, তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যহত ছিলো, তার বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এ নিয়ে কথা বলতে অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনের সাথে একাদিকবার যোগাযোগ করেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ভোলার এ বিতর্কিত অধ্যক্ষের নানা দুর্নীতি ও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলাসহ সভাপতি কর্তীক সাসপেন্ড হয়ে দীর্ঘ দিন কলেজ ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন।
তার সকল অপকর্মের খতিয়ানের সমীকরণ তুলে ধরবো প্রিয় পাঠক আপনাদের সামনে, সাথে থাকুন ভোলা নিউজের….