মনজু ইসলামঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুউদ্দিনের ব্যস্ততম মির্জাকালু লঞ্চ ঘাট। নদী পথে ভোলা থেকে রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার অন্যতম সহজ রুট এটি। বোরহানউদ্দিনসহ দক্ষিণ ভোলার বেশিরভাগ মানুষ ভরসা করে এ রুট। কিন্তু, এখানে এসেই বিড়ম্বনাসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে। একমাত্র পন্টুনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকায় ঢাকাগামী যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
এলাকাবাসি বলেন প্রতিদিন এ রুট দিয়ে চরফ্যাশন, মনপুরা ও হাতিয়া থেকে পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এসব লঞ্চ হাকিমুদ্দিনের মির্জাকালু ঘাটে নোঙর দিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করায়।
ঝুঁকিপূর্ণ পন্টুনে যাত্রীদের ভোগান্তি। সে হিসাবে অন্তত দুই হাজার যাত্রীদের যাতায়াতের ভরসা এই হাকিমুদ্দিনের মির্জাকালু পন্টুন। দীর্ঘ পাঁচ মাসের ও বেশি সময় ধরে পন্টুনটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি।পন্টুনটিতে ওঠা-নামা করার জন্যও নেই সুব্যবস্থা। ছোট সিঁড়ি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পন্টুনে উঠতে হয় যাত্রীদের।
লঞ্চযাত্রীরা বলেন, পন্টুনে বসার কোনো স্থান নেই, ঘাটে এসে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দুই একটা বেঞ্চ থাকলেও তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। লঞ্চের জন্য দু এক ঘণ্টা আগে এসে অপেক্ষা করতে হয়। তার ওপর এখানে নেই কোনো বসার স্থান ফ্লোরে বসে থাকতে হয়।
যাত্রীরা অভিযোগ করে আরো বলেন, ঘাটে এসে টোল দিলেও ন্যুনতম যাত্রীসেবা মিলছে না আমাদের, উল্টো ভোগান্তি নিয়ে গন্তব্যে ছাড়তে হয় আমাদের।
ঘাট ইজারাদার উজ্জ্বল হাওলাদার বলেন, ঘাটের জীর্ণ দশার কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে দিন দিন এ রুটে যাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেকে আবার টোল দিতেও চায়না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এ রুট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেবে যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণে পন্টুনটি কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে খুব শিগগিরই পন্টুনটি মেরামতের কাজ করা হবে। তখন আর যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। এবং এখানে দেওয়া হবে নতুন পন্টুন।