মনজু ইসলাসঃ
এবার ভোলার সাবেক এসপির মানুবিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষসহ সারা বাংলার মানুষ। ৩দিন ধরে না খাওয়ার খবর শুনে সুধু খাবারই দেননি যাতে করে পরবর্তীতে আর অভাবে না পরতে হয় এ জন্য একটি সেলাই মেশিনও কিনে দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
তিন দিন থেকে অনাহারে থাকা রোজিনার পাশে দাঁড়ালেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাঃ মনিরুজ্জামান মনির।মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রোজিনাকে ডেকে সেলাই মেশিন ও খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন এসপি মোহাঃ মনিরুজ্জামান মনির।
এসময় একটি সেলাই করা মেশিন, ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, সয়াবিন তৈলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজ অর্থায়নে রোজিনার হাতে তুলে দেন পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান মনির।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ঠাকুরগাঁও আমাদের অহংকার একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) পেইজে “ঠাকুরগাঁওয়ের রোজিনার আর্তনাদ দেখার কি কেউ নেই?” এই শিরোনামে রোজিনার ভিডিও ভাইরাল হয়। এই ভিডিওটি ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান মনির দেখেন। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরে পেইজ এর এডমিন সাংবাদিক জুনাইদ কবিরকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে পাঠান।
এবং অসহায় রোজিনার সম্পর্কে জানেন তিনি। জানার পরে তাৎক্ষনিকভাবে সেই অসহায় মহিলাকে ডেকে এনে সহায়তা করেন তিনি।
এসব পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরে অসহায় রোজিনা। এসময় রোজিনা বলেন, আজকে আমি অনেক অনেক খুশি এসপি স্যার ও সাংবাদিক জুনাইদ ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি আল্লাহর কাছে তাঁদের যেন আল্লাহ মঙ্গল করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক জুনাইদ কবির ও জাহিদ হাসান মিলু সহ পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
পুলিশ সুপার মোহাঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, অনেকে তাকে খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ দিয়ে হয়তো সহযোগিতা করেছেন ভিডিও দেখে। কিন্তু তার কর্মসংস্থানের কথা কেউ হয়তো চিন্তা করেন নি। তাই আমি ক্ষুদ্র আয়ের উৎস হিসেবে তাকে একটি সেলাই মেশিন দিলাম। যেন তিনি সেলাই করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এবং এসময় রোজিনার ছোট্ট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করার পরামর্শ দেন ও যেন কোন সমস্যায় পরলে তাকে জানানোর কথা বলেন তিনি।
শহরের কলোনি বিহারীপাড়া মসজিদের পাশে তিনি নাসিমা নামে এক মহিলার বাসায় স্বামীহারা রোজিনা তার ৩ বছর বয়সের এক ছেলে সৌরবকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। তিনি এর আগে ঢাকায় গার্মেন্টস এ কাজ করতেন পরে সেখান থেকে চলে এলে ঠাকুরগাঁওয়ে পিতার বাড়িতে আসলে কিছু দিন পর তার পিতা মারা গেলে তিনি ইট ভাটায় কাজ করতেন কাজ করতে করতে পরে অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। অসুস্থতার কারণে অপারেশন করলে তিনি ১৫দিন কাজ করতে পারেন নি।
কাজ না করতে পেরে তার ছেলেকে নিয়ে ৩দিন অনাহারে থাকতে হয় তাকে। এই দুঃসময়ে তাদের একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার।