মিলি সিকদার ঃ দেবি দুর্গার আগমনে ডাকের তালে যখন হিন্দু সম্প্রদায় আনন্দে আত্নহারা। ঠিক তখনি ধর্ষক অসুরদের ধর্ষন যন্ত্রনার গগনবিদারী আর্তনাদে ভোলার মন্ডপের দেবীদুর্গারা কাঁদলেও মোড়ল মাতব্বরদের মিমাংশা আর নোটারী এডভোকেটের ফাইলের নিচে চাপা পড়েছে ধর্ষিতার নিরব চাপা কান্না। নারায়নগঞ্জের মেয়েকে বিয়ের নাম করে ভোলায় এনে নিয়মিত রুটিন মাপিক ধর্ষন করে যাচ্ছে পরিবারের সকলে মিলে। বিচার চেয়ে বিচারতো দুরের কথা উল্টো নোটারি পাবলিক উকিল বাবুর দরবারে এনে সই সাক্ষর নিয়ে ভয়বীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন ধর্ষিতার পরিবারকে। কন্না জড়িত কন্ঠে ধর্ষিতার বাবা সাংবাদিকদের কাছে প্রতিকার চাইলেও মোড়ল মাতব্বর ও দালালদের ভয়ে সদর থানা পর্যন্ত আসতে পারেননি। তবে ওসি বলেছেন থানায় আসলে ব্যাবস্থা নিবেন তিনি।ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তুলাতলির সতীশ কবিরাজের বাড়ির নারায়ন চন্দ্র শীলের ছোট ছেলে নয়ন চন্দ্র শীল তার আপন ভাইয়ের স্ত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেই চলছেন। বিচার দিতে গিয়ে সন্তানের গলায় ছুরি ধরে সেখানেও একাধিক বার ধর্ষণ করে ওই বিচারক।এ ঘটনায় ধর্ষিতা লিখিত অভিযোগ করে গণমাধ্যম কর্মীদের কে জানান, সুজন চন্দ্র শীল এর সাথে আমাদের উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে সনাতন ধর্মীয় মতে বিবাহ হয়। আমার স্বামীর মাঝে চরে একটি সেলুনের দোকান আছে। তিনি সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ দোকান করার সুবাদে সপ্তাহে একবার বাড়িতে আসে। আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে তার ছোটভাই নয়ন চন্দ্র শীল জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।ধর্ষণ করার সময় আমি ডাক চিৎকার দেই ডাক চিৎকার শুনে আমার শাশুড়ি আলো রানী দৌড়ে আসে এসে পুরো বিষয়টি তিনি দেখে ফেলে। পুরো বিষয়টি দেখার পরেও তিনি নয়নকে শাসন না করে আমাকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করে। আমি আমার শাশুড়িকে পুরো বিষয়টি বলা সত্ত্বেও সে কোনো ভূমিকা পালন করেনি। তিনি আরো বিষয়টি তার ভাই রমেশচন্দ্র কে জানায়, রমেশচন্দ্র পুরো বিষয়টি জানার পরে আমাকে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে আমার হাত পা বেঁধে আমার গলার কাছে ছুরি ধরে আমাকে ভয়-ভীতি দেখায় যাতে আমি আইনগত কোনো পদক্ষেপ না নেই। আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা আমি আমার স্বামীকে জানালে, তিনি আমাকে তার ভাইয়ের সাথে আপোষ মীমাংসা যেতে বলেন।ধর্ষিতা আরো জানান ভোলাতে আমার কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই আমার বাবা এলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। নারায়ন চন্দ্র শীল জানান, ইতিমধ্যে আমার বাসায় যেই বিষয়গুলো ঘটে গিয়েছে এই বিষয়ে আমি স্থানীয় মেম্বার মনির ও এলাকার আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে জানাই তারা একাধিকবার সালিশ মীমাংসা করে দিয়েছেন।ভোলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন ফকির জানান অভিযোগ পেলে বিষয়টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
ভোলা নিউজ/টিপু সুলতান