মনজু ইসলামঃ
থেমে নেই ভোলার সড়কের লুটপাট। এবার রাতের আধারে সড়ক নির্মানের নামে ভোলার মানুষের সাথে তামাশা করার সময় হাতে নাথে সড়কের প্রধান নির্বাহি ও ঠিকাদারের চুরি কাম ডাকাতির প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ভোলার জনগন। আর তা তদন্ত করতে এবার ভোলার রাস্তায় নেমেছেন দুদক। আর এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে ভোলার টেন্ডারবাজ ঠিকাদাররা।
জেলায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি টিম বুধবার নির্মাণাধীন সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
ভোলা শহরের কালীনাথরায় বাজার থেকে বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার এবং ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের বোরহানউদ্দিন উপজেলা হেলিপ্যাড থেকে মনিরাম বাজার কলেজ পর্যন্ত ৭ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কে ডিভিএস ওয়ারিং (ওভারলেপ) কার্পেটিং কাজ চলছে। কাজের মূল ঠিকাদার হচ্ছেন ঢাকার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এমএ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির মোস্তফা মিয়া। ওই কোম্পানির পক্ষে স্থানীয় ঠিকাদার হচ্ছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন। কাজের মান নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠলে সওজের অ্যাডিশনাল চিপ ইঞ্জিয়ার সুশীল কুমার সাহা ল্যাব টেকন্যাশিয়ান টিমসহ তদন্তে নামেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে কাজ করার নির্দেশ দেন। এক সপ্তাহ না যেতেই তদন্ত শুরু করল দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম।
দুদক কর্মকর্তা জানান, এ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। শুরুতে জেলা শহরের ৫ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পরীক্ষা করা হয়। এতে তেমন কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। তবে ওই কাজের বেশির ভাগ অংশ রয়েছে বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। ওই এলাকায় তদন্ত চলছে। কাজ শেষ হওয়ার পর ফের তদন্ত করা হবে।’
এছাড়াও ভোলায় বিগত দিনে যেসকল সড়ক মেরামত হয়েছে তার অধিকাংশই সড়কে ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায়। আলিনগর ইউনিয়নের সড়ক,শিবপুর, উত্তর দিঘলদীর সড়ক নির্মাণের ২মাসের মাথায় ছাল-ব্যাকল সব উঠে যায়। এবিষয়ে দুদকের তদন্ত দাবি করছেন এলাকাবাসি