আরিয়ান আরিফঃভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর গ্রামে প্রতিবেশী দাদার বিরুদ্ধে নাতনি কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রী কে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে পুলিশ।বুধবার দুপুরে রাজাপুর ৬নং ওয়ার্ডের মোখলেস খাঁন বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত লম্পট রাজাপুর ইউনিয়নের জনতাবাজারের ব্যবসায়ী ছালাউদ্দিন মীর (৫৫)।ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর কাকি ফাতেমা বেগম বলেন,আজ দুপুরে ছালাউদ্দিন মীর আমাদের বাসায় এসে পানি চেয়ে চলে গেছে। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি আমার দেবরের মেয়ে কাকি কাকি করে চিৎকার দিচ্ছে, এসে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে আর ছালাউদ্দিন মীর দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।আমার দেবরের মেয়ের এই অবস্থা দেখে আমি অজ্ঞান হয়ে গেছি।পরে এলাকার লোকজন এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাম জমাদার বলেন,আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পুলিশ কে জানিয়েছি।
এই বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে, পুলিশ এখনো সেই এলাকায় আছে এবং ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এদিকে স্থানীয়রা জানান, রাজাপুর ইউনিয়নে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, মামলা হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা টাকার বিনিময়ে রফাদফা করার কারনে ধর্ষকরা রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে, যার কারনেই এই ইউনিয়নে একের পর এক ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।