মনজু ইসলাম/টিপু সুলতানঃ
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন সীমানার রোদেরহাট বাজারে জুয়া (তাস) খেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্য এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে উভয় পক্ষের ১৫জন আহত হয়।
শনিবার সকালে রোদেরহাট বাজারে চেয়ারম্যান মিজান খান উপস্থিতিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গেল কয়েকদিন ধরে জুয়া (তাস)খেলাকে কেন্দ্র করে হারুন ও শরীফের মধ্য কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি চেয়ারম্যান জানলে বিচার সালিশের তারিখ দেওয়া হয় উক্ত সালিশে উভয়পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে চেয়ারম্যান। কিছুক্ষণ পরে চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই ফের খালেকের পক্ষে ফারুক ও মামুন গ্রুপের কথা কাটাকাটির। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
সংঘর্ষের নেতৃত্বে ছিলেন রাজাপুর ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন পশ্চিম ইলিশা ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন বেপারী। আহতদের ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন কুমার জানান, সংঘর্ষের খবরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। উভয় পক্ষই লাঠিসোটা ও দেশীয় দা ব্যবহার করে।
নাম উল্লেখ না করায়, রাজাপুরের একজন বাসিন্দা বলেন পুরো ঘটনার সাথে চেয়ারম্যান সম্পৃক্ত ছিলেন চেয়ারম্যান আগে থেকেই জানতেন এ ধরনের একটি ঘটনা হবে। তারপরেও চেয়ারম্যান কেনো ঘটনাস্থলে বিচারের তারিখ ঘোষণা করেন।
এ বিষয় রাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান জানান, ৩ দিন আগে মামুন ও হারুনের মধ্য কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সালিশ বিচারের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে মিলমিশ করানোর জন্য শনিবার রোদেরহাট বাজারে বিচার সালিশের বসার একটি তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিছুক্ষণ পরে আমাদের সামনেই উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং যে যেরকম ভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ মারামারিতে লিপ্ত হয়ে পড়েন।