মোঃ আরিয়ান আরিফ।।
ভোলার মানুবিক পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। যোগদানের প্রথম দিনেই বলেছিলেন “শক্তি নয় মানুবিকতাদিয়ে বদলাতে হবে পুরো সমাজকে”। হত্যা ধর্ষন যখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিলো এসপির এধরনের মানুবিক কথায় উপস্থিত সবাই হতাশ হলেও ভোলাকে শান্তির নীড়ে পরিনত করে প্রমান করেছেন মানবিকতাই সব কিছু বদলে দিতে পারে। তারি ধারাবাহিকতায় শুন্য দিনের নবজাতকে উদ্ধার করে নিজের বুকের উষ্ণতা দিয়ে হাসপাতালে পৌছান পুলিশ। মহান আল্লাহর রহমতে বেচেগেলো নবজাতক।
ভোলা শহরের টাউন স্কুলেরর মাঠের গেট থেকে কাপড় মোড়ানো এক নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে সদর থানার পিএসআই নেসার শুন্য দিন বয়সী ওই ছেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে। শিশুটি বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুস্থ আছে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনির হোসেন মিঞা জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে টাউন স্কুল মাঠের গেটের পাশে শিশুর কান্নান শব্দ পেয়ে পিএসআই নেসার তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পেটিকোট মোড়ানো অবস্থায় কেউ শিশুটি ফেলে গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুটির চিকিৎসার খোজ খবর রাখা হচ্ছে। শিশুটিকে উদ্ধাকারী পুলিশ অফিসার নেসার জানান, মাঠের প্রধান গেট সংলগ্ন বিদ্যুতের খাম্বার নিচে রেখে যাওয়ায় শিশুটি চোখে পড়ে। ওই স্থান থেকে উদ্ধারের ১৫/২০ মিনিট আগে রেখে গেছে বলে ধারনা তার। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. তৈয়বুর রহমান জানিয়েছেন, রাতে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা দিয়ে এখন তাকে সুস্থ করা হয়েছে। তার সুচিকিৎসার সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে শিশুটিকে ভর্তির পর থেকে পলি রানী মজুমদার নামের হাসপাতালের এক কর্মচারী নিজের দুধপান ও মায়ের যত্নে শিশুটিকে সুস্থ রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের দুই সন্তানের পাশাপাশি এ শিশুটির লালন পালনের দায়িত্ব নিতে চান পলি রানী। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিশুটিকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া শিশুটি উদ্ধারের খবর পেয়ে দত্তক নেয়ার জন্য আরও কয়েকজন যোগাযোগ করছে বলেও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই শিশুটির অভিভাবকের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নি।