ভোলার মাঝেরচর মানুষের দূর্ভগের শেষ নেই

ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা জেলার মেঘনা নদীর মধ্যে জেগে ওঠা চর যার নামকরন করা হয়েছে মাঝেরচর জেলা শহর থেকে এর দুরত্ব প্রায় ১০কিলোমিটার মাঝেরচর মূলত ভোলা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভেঙে গরে উঠেছে। যেমন ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ এবং দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন,হাজিপুর ইউনিয়ন সহ আরো অনেক গ্রাম আছে, যাতে প্রায় ৫০হাজার লোকের বসবাস।ভোলা সদর উন্নত হলেও সে তুলনায় উন্নত হয়েনি মাঝেরচরটি। এলাকার চরাঞ্চলের মানুষের দূর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ভোলা সদর থেকে এই উত্তাল মেঘনা নদী পারি দিয়ে ও জিবনের ঝুকি নিয়ে প্রতিনিয়ত মাঝেরচর যাওয়া আশা করে হাজারো মানুষ। এই ভয়ঙ্কর মেঘনা নদী পারাপারে একমাত্র মাধ্যম হলো ছোট ছোট ট্রলার। তা ও আবার লক্কর ঝক্কর যা প্রতি ঢেউএর সাথে সাথে ট্রলারের ভিতর পানি উঠে যায় এবং সকল যাত্রী ভিজে চুপসে যায়।
চরাঞ্চল থেকে অনেক গর্ভবতী মা, শিশুরা এবং বৃদ্ধা পুরুষ/মহিলা অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের দ্রুত ভাল চিকিৎসার জন্য শহরের হাসপাতালে আনা অসম্ভব হয়ে যায়। কারন সন্ধ্যা হলে আর কোনো নৌ-যান পাওয়া যায়না। তাই অনেক গর্ভবতী মা/শিশু চিকিৎসার অভাবেমৃত্যুর কোলে ঝুকে পরে। মাঝের চরের মদনপুর ইউনিয়নে ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে তিনটি ক্লিনিক মাত্র একজন ডাক্তার দিয়ে পরিচালনা করা হয়। তাও আবার সপ্তাহে একদিন। তাই চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা পেতে খুব কষ্ট হয়। এই ইউনিয়নে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে যার মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪/৫জন করে শিক্ষক/শিক্ষিকা রয়েছে তারা তাদের নিজ ইচ্ছায় ক্লাস নিচ্ছে এবং ২/১ জন শিক্ষকই প্রতিনিয়তি ক্লাস নেয়। তাও আবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়।
মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নান্নু বলেন আমাদের এ অঞ্চলের জনগনের চলাচলের খুবই কষ্ট হয়। যাতে করে সন্ধ্যা হলে আর আমরা ভোলা শহরে যেতে পারি না। এবং আমাদের এই চরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট চলাফেরার উপযোগী না ।

SHARE