বিপ্লব ভোলা, স্টাফ রিপোর্টার।।
ভোলা জেলা মনপুরা উপজেলায় বহুল আলোচিত শিক্ষক হামলায় সন্ত্রাসী সাফায়ত প্রকৃতি ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তার মাকে বাদী করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনপুরা ভূঁইয়ার হাট সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন।।
শিক্ষক হোসেন অভিযোগ করে বলেন,গত 11 ই জুন আসিদে জুমার নামাজের আমিও আমার পরিবারের উপর নিশংস অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন সন্ত্রাসী শাফায়াত সহ তার দোসররা, ভোলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সু-যৌগ্য পুলিশ সুপারের মহোদয়ের নির্দেশনাক্রমে আমাকে নিঃশংস হামলার গত ৮ জুলাই মামলাটি রুজু করেন যা মামলা নং ৩/৩৪.
শিক্ষক হোসেন আরো অভিযোগ করে বলেন আমার প্রতি এ হামলার ঘটনার ২৭ দিন পর পুলিশ মামলা রুজু করে অবশেষে আসামী আবু সুফিয়ান গ্রেফতার করেন।। সাথে সাথে গতকাল ৮ জুলাই আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা রুজু করেন।। ঘটনার দিন 11 ই জুন আমি নিশংস হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দীর্ঘ পাঁচ দিন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলাম।। ঐদিন কিভাবে আমি পামার আহত পরিবার আরেকটি হামলা করি।। এছাড়া মসজিদ ঘরে মহিলারা কেন আসবেন?? এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।। পুলিশ আমি ও আমার আহত পরিবারকে হয়রানি মূলক মামলা রুজু করছেন ।। আমি ভোলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।।
উল্ল্যখ, বিগত 11 জুন 2021 ইং তারিখে স্থানীয় মনপুরা উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের অলিউল্লাহ মসজিদে শুক্রবার জুমা চলাকালীন সময় সম্পূর্ন পরিকল্পিত ভাবে এই নিঃশংস হামলা চালানো হয় বলে জানাযায়। আহত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হোসেন ও তার পিতা তাজুল ইসলামকে সাথে সাথে মনপুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।। আহত শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন প্রায় ৩ যাবত ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি।।
লিখিত অভিযোগে ভোক্তভোগী তুলে ধরেন পূর্বশত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়।। ৭ জন আসামির মধ্যে পুরো সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্ব ছিলেন,সন্ত্রাসী শাফায়েত হোসেন।
ভুক্তভোগির পিতা আহত তাজুল ইসলাম আরো জানান, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী শাফায়াতের মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নাটক সাজানোর পাঁয়তারা চলছে।
বিষয়টি নিয়ে ওসি মনপুরা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং আগামী শুক্রবার ওই মসজিদে নামাজ পড়বো, সাংবাদিকগণ দর্তব্যরত অপরাধের কথা বলে প্রশ্ন করলে,ওসি মনপুরা বলেন বিষয়টি দেখবে কোর্ট
পরিকল্পিত ভাবে মসজিদের নারকীয় তাণ্ডবের বিষয়ে মনপুরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত আমার কাছে মৌখিক বা লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি,আমি ওসি মনপুরাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করব.
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শাফায়াত কে ফোন করলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দিয়ে,সাথে সাথে মনপুরা কোর্টের নতুন আইনজীবী এডভোকেট রাহাদ পরিচয় অন্য ফোন দিয়ে, সংবাদকর্মীদের তথ্য প্রকাশ না করতে, নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। যে নাম্বারটি হলো,০১৭০৬-৬৮১০৭৬