নিউজ ডেস্কঃ
ভোলানিউজ.কম-২৭.০৫.১৮
মাত্র ১মাস অতিবাহিত হলেই ২ বছর পূর্ণ হবে পুলিশ সুপার হিসেবে মোকতার হোসেনের ভোলায় আগমনের মেয়াদ কাল। আলোচনা সমলোচনা ২ বছরে তার যেমন রয়েছে অসাধারন অর্জন পাসা পাসি কিছু কাল্পনিক সমলোচনাও থাকলেও ভোলায় পুলিশ সুপার হয়ে যোগদানের সময়টা ছিলো সারা বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের উত্থানের বছর। ভোলায় যোগদানের তিনি ভোলা বাসিকে বুঝতেই দেননি জঙ্গীবাদের কোন প্রকারের হিংশ্রতা। যোগদান করেই সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসাসহ সকল মামাজিক প্রতিষ্ঠানে জঙ্গীবাদের বিরুদ্বে একের পর এক সচেতন মূলক সভা করে ভোলাবাসিকে জংঙ্গীগোষ্টির বিরুদ্ধে একটি কার্যকরি জনগোষ্ঠীততে রুপান্তরিত করেন। এবং সকল রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাথে সন্ত্রাস বিরোধী অভিন্ন একটি বলয় গড়ে তুলে ভোলাকে পরিনত করেন একটি শান্তির দ্বীপে। ভোলাকে বানিজ্যমন্ত্রীর বাংলার সিঙ্গাপুর নির্মানের জন্য যে ধরনের আইন শৃংঙ্খালার প্রয়োজন তার একের পর এক বিরতিহীন অভিযানে সে দিকেই যাচ্ছিলো ভোলার আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি । বিশেষ করে ভোলার প্রতারক জ্বীন ব্যাবসায়ীদের খপ্পর হতে রক্ষা করেন কয়েক’শ ভুক্তভোগীকে। বিকাশ কর্মীকে চুড়ি মেরে একের পর এক সিরিজ ছিনতাইয়ের হোতাদের গ্রেফতার করে আদালতে ১৬৪ জবানবন্দি করে অসাধারন কৃতিত্ব দেখিয়েছেন সময়ের এ সাহসী পুলিশ সুপার। মাঝে মধ্যে তার বিরুদ্ধে ভোলার মাদক ব্যাবসা নিয়ে নেতিবাচক কথা উঠলেও তার জবাব দিতে একের পর এক মাদক উদ্ধার অভিযানের সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। ভোলার মাদক দমনকে এক নাম্বার সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করেন এই সফল পুলিশ সুপার। ভোলার কাঁচা বাজারের ব্যাবসায়ী সমিতির নেতা হত্যা কারিদের খুনিকে গ্রেফতার করিয়ে তাকে দিয়েও সয়লতার সাথে আদালতে ১৬৪ এ জবানবন্দি করিয়েছেন। রাজাপুর ইউনিয়নের ব্রাক কর্মকর্তার খুনিদের গ্রেফতার করিয়েও ১৬৪ করিয়েছেন। সর্বশেষ হিড বাংলাদেশ নামক এনজিও কর্তার খুনিকে রাঙ্গামাটি থেকে গ্রেফতার করিয়ে এনেছেন।
পুলিশ সুপার মোঃ মোকতার হোসেনের যোগদানের ২৩ মাসে মাদকের গর্ড ফাদারদের বিরুদ্ধে সমর যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। তার একের পর এক মাদক বিরোধী সফল অভিযানে সকল মাদক ব্যাবসায়ীরা গা ঢাকা দিয়েছে। যোগদানের ২৩ মাসে তার কঠোর তদারকিতে মাদকের মামলা হয়েছে ১১২৫টি, আসামী গ্রেফতার হয়েছে ১৪৯২জন, ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে ৩২হাজার ৩৩৩পিচ, গাজাঁ উদ্ধার হয়েছে ১৬ কেজি, ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে ১৩৮বোতল, দেশী/বিদেশী মদ উদ্ধার ১২লিটার, অতিরিক্ত এ্যালকহলযুক্ত বিয়ার ৭১০ ক্যান। মাদকের বিরুদ্ধে ভোলার কোন পুলিশ সুপারের এ অর্জন গত দশ বছরের অর্জনকেও ছাড়িয়ে গেছে।সর্বশেেষ ভোলায় আপন দুইবোনকে এসিড নিক্ষেপ ঘটনার প্রধান আসামি মহব্বত হাওলাদার অপু (১৯ কে গতকাল রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ২৬মে (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে ভোলা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৪মে দিবাগত রাতে ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের খুশিয়া গ্রামে আপন দুইবোন মালা (১৬), ও তার ছোট বোনকে এ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনার প্রধান আসামি মহব্বত হাওলাদার অপুকে গতকাল রাতে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসিড নিক্ষেপ ঘটনার সতত্য স্বীকার করেছে আসামি অপু। মালার সাথে অপুর অনেকদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক ছিল, অনেক টাকা পয়সা অপু এই প্রেমের পিছনে ব্যয় করেছে। এঘটনার জেরধরেই শান্তিরহাট এলাকার ব্যাটারী চালিত বোরাক থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড বোতলে রেখে অপু জানালা থেকে ওই এ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে জিজ্ঞেসাবাদে সত্যতা স্বীকার করেছে। সর্বপরি মোকতার হোসেনেের আলোনা সমলোচনার ২ বছর ভোলার মাানুুষের জন্য আশির্বাদ সরুপ থাকলেও কয়েক দিনে ভোলার আইন শৃংঙ্খলার মহামারি অবস্থা বিশেষ করে একের পর এক খুন হত্যা পুলিশ সুপারের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। বিশেষ করে বাপ্তার ডাবল মার্ডারের পূর্বে দুই খুনি ওসি ভোলার সাথে দেখা করার বিষয়টি ভোলার সচেতন মানুষকে হতাশ করেছে। এ ছাড়া শহরে একের পর এক লেংটা চুরির কাম ধর্ষনের গুঞ্জনের ঘটনা ভোলাবাসিকে ভাবিয়ে তুলেছে। পুলিশ সুপারের গত ২ বছরের সফল আর্জন ধরে রাখতে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন এমন টাই প্রত্যাসা ভোলার শান্তিকামী মানুষের।