————
আমজাদ হোসেন!
নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারা ঢালচর বাসীকে তারুয়ার পরিত্যক্ত জমিতে পূনর্বাসনের দাবি ও নিরাপদে মাছ শিকার করবো দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবো।এই দুই শ্লোগানে আজ শনিবার(৩১অক্টোবর) বিকেলে ভোলা ঢালচর বাজারের নদীপাড়ে হাজারো মানুষের উপস্তিতিতে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন,র্যালী ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তারা নদী ভাঙ্গনে ভিটে মাটি হারা ঢালচর বাসীকে তারুয়ার পরিত্যক্ত জমিতে পূনর্বাসন ও জেলেদের জন্য নিরাপদ খাল ও মৎস্য অবতরন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান।
ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদারের সভাপত্বিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভে বক্তারা বলেন, নদী ভাঙ্গনের কারণে ভোলার ঢালচর ইউনিয়নটি প্রায় মানচিত্র থেকে বিলিনের পথে। এর মধ্যে ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে কয়েকটি পুরোপুরি বিলিন হয়ে গেছে।বাকী গুলোও বিলীনের পথে। যে কারনে এখানকার হাজার হাজার মানুষ আজ ভূমিহীন হয়ে পড়েছে। ভুমিহীন এসব মানুষ গুলো এখন থাকার মতো জায়গা না পেয়ে হতাশ হয়ে জীবন-যাপন করছে। কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। যদিও খোলা জায়গাটি দাবি করছে বনবিভাগ তাই সেখানে থাকতে পারছেনা এসব ভুমিহীনরা। বনবিভাগের আইনি মারপ্যাচে ও খাম-খেয়ালিতে এইসব ভুমিহীনদের হয়রানি হয়ে আসছে। এসব বন্ধ না করলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন বক্তরা।
এসময় তারা আরো বলেন, এই চরের মানুষগুলো ইলিশের উপর নির্ভরশীল। বার বার নদী ভাঙনের ফলে এখানকার মানুষ গুলো আজ সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে। তাই এ সকল মানুষগুলোকে তারুয়ায় পরিত্যক্ত প্রায় ২ হাজার একর জমিতে পুনঃবাসনের দাবি করেন।
এছাড়া প্রতি বছর এই ঢালচর থেকে ২ হাজার কোটি টাকার ইলিশ ভোলা বরিশাল সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। এতে সরকার অনেক অর্থ রাজস্ব আদায় করেন। তাই জেলেদের নৌকা নিরাপদে রাখার জন্য একটি খাল খনন ও একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের জোর দাবি করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুস সালাম মুন্সি, মোঃ মোস্তফা কমিয়া, হারুন হাওলাদার, আবুল কাশেম, আঃ শহীদ মেম্বার, সফি মেম্বার, ফারুক মাল, আনিছুর রহমান মাস্টার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ রহমানসহ আ’লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেত্রী বৃন্দসহ ঢালচরের নদী ভাঙ্গন কবলিত হাজার হাজার ভূমিহীন এবং জেলে ও ইলিশ ব্যবয়ায়ীরা।