ভোলার ডিসি’র বক্তব্যে হতাশ হলেও টুলু’র প্রতি কৃতজ্ঞতা

মনজু ইসলাম/ ফিরোজ মাহমুদঃ

আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভোলার জেলা প্রশাসনের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে ভোলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আব্দুল মমিন টুলুর বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানালেও জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই।

জেলা প্রশাসক সরাসরি কনফারেন্স করোনা রুগী সনাক্তের জন্য কীট, ভোলার স্বাস্থ্যবিভাগের করুণ অবস্থা এবং হাসাপাতালের কথা না বললেও ভোলার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু নদী বেষ্টিত ভোলার অসহায় ২০ লক্ষ মানুষের চিন্তা করে ভোলা হাসপাতালে করোনা রোগীর নমুনা সনাক্তের দাবী জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক না বললেও প্রধানমন্ত্রী
জেলা প্রশাসকে ভোলায় যাতে করে কোন বাহিরের মানুষ ডুকতে না পারে সে জন্য সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ভোলার তরমুজ দেশের সব জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ও নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। জেলার নদী ভাংতিদের কথা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক ভুলে গেলেও ভুলেননি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সকল সহায় সম্বলহীন নদী ভাংতিদের তালিকা করে ঘরে ঘরে খাবার দেবার জন্য জেলা প্রশাসককে ভিডিও কনফারেন্স এ নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে ভোলার হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যবিভাগের প্রকৃত চিত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে না ধরে নিজেদের গুন কীর্তন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভোলার সুশীল সমাজসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা। ভোলা সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সফি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তিনিই একমাত্র প্রতিনিধি যিনি আমাদের প্রিয় নেত্রীর কাছে ভোলার ২০ লক্ষ মানুষের প্রনের দাবী তুলে ধরেছেন। এদিকে পর্যাপ্ত পিপিই মজুদের কথা বলা হলেও ভোলায় জীবনের ঝুকি নিয়ে টিকাদান কর্মসুচী চালিয়ে যাওয়া কোন সাস্থ্যসহকারী থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কাউকেই পিপিইসহ কোন প্রকার সরঞ্জামাদি দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী বলেন, জরুরী প্রয়োজনে কিছু পিপিই মজুদ থাকলেও সার্জিকাল মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ প্রর্যাপ্ত উপকরণের ঘার্তি ও ডাক্তার সংকট রয়েছে ভোলায়। ২০ লক্ষ মানুষের এক মাত্র সদর হাসপাতরের নতুন ভবন উউদ্বোধনের কথা থাকলেও তা দীর্ঘ দিন ধরে স্বাস্থ্য সেবা ঝুলে আছে উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সম্প্রতি ১ জন ডাক্তার আসলেও তাকে আবার কুর্মিটোলায় বদলী করে নিয়ে গেছে। সদর হাসপাতালের ১১ জন ডাক্তার দিয়েই চলছে ভোলা দ্বীপের ২০ লক্ষ মানুষের স্বাস্থসেবা।
এদিকে ভোলার মানুষের অভিবাবক প্রিয়নেতা তোফায়েল আহমেদ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ভোলার অসহায়দের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে গেলেও সেই ব্যাপারে কথা না বলে জেলা প্রশাসক তার সরকারী ত্রাণের হিসাব দিয়েছেন। যার নিয়মিত চুরির সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমে। ভোলার মানুষের প্রত্যাশা ছিলো তাদের প্রতিনিধি ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ও ভোলা ৩ আসনের সাংসদ নুরনবী চৌধুরী শাওন ভোলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় দাবীগুলো তুলে ধরবেন, তাদের কেও কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি ভিডিও কনফারেন্সে। ভোলার স্বাস্থ্যবিভাগের প্রধান সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী কেও কথা বলতে দেয়া হয়নি ভিডিও কনফারেন্সে। এতে করে ভোলার স্বাস্থ্যবিভাগের করুন হালের প্রকৃত চিত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে না ধরার জন্য জেল প্রশাসকের বক্তব্যের ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই।

SHARE