নিউজ ডেস্কঃ
ভোলার হতদরিদ্রদের আপন জন। সবাই তাকে ভোলার নেয়ামত হিসেবেই চিনে। গতকাল ২৯ মার্চ এই গুনী সাংবাদিক তার ফেইজবুকে লিখেছেন এই লেখাটি। ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তার লেখাটি তুলে ধরা হলো……..
ঝুপরি একটি ঘরের মালিক ভোলার সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাপ্তা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম। তিন সন্তান। লেখাপড়া করে।
দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগনকে ঘরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ নির্দেশ মানতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন এ নিন্ম আয়ের মানুষটি। রোববার সকালের দিকে ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক নিজ হাতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে বেড়িয়েছিলেন। সিরাজুল ইসলামকে খাদ্য দেওয়ার সময় জেলা প্রশাসক তাঁর বাস্তব অবস্থা দেখেছেন। সঙ্গে থাকা বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়ানুর রহমান বলেন, তিনি সিরাজুল ইসলামের দুরাবস্থা দেখে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীনদের জন্য ঘর প্রকল্প থেকে একটি ঘর দেবেন আশ্বাস দিয়েছেন।
এ গল্পটি এ কারণে আপনাদের শোনাচ্ছি, দেশের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন যখন জনগনের দ্বারে যান। তখন তাঁর প্রকৃত অবস্থা উপলব্ধি করেন। সঠিক লোকটি সরকারি খাদ্য, নগদ টাকা ও ঘর বরাদ্দ পান। কিন্তু এঁরা যখন অন্যের ওপর ভর করেন, বিশেষ করে রাজনৈতিক দালালদের ওপর, তখন ভুল লোকটি পান বরাদ্দ অর্থাৎ বহুতল ভবনের ওপরও প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীনদের ঘর প্রকল্পের ঘর ওঠে। মুদি ব্যবসায়ী, সার ব্যবসায়ীও জেলেদের বরাদ্দের চাল পান, আর বিদ্যালয়ের মাঠে বারবার টিআর, কাবিখা, ৪০দিনের কর্মসূচী প্রকল্প, এমনকি এলজিএসপির বরাদ্দ দিয়েও মাঠ ভরাট হচ্ছেনা। বর্ষায় জমে হাঁটু পানি।