ইব্রাহিম আকতার আকাশ: ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর ভেদুরিয়া গ্রামের সুফিয়ান হোসেন ঢাকার একটি ফ্ল্যাটে খুন হয়েছেন। তার পরিবার দাবি করছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সুফিয়ানের বন্ধুরা জড়িত রয়েছেন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ভোররাতে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানা এলাকার মাধবপুরের উত্তরপাড়া এলাকার একটি চারতলা ফ্ল্যাটের চতুর্থ তলা থেকে সুফিয়ান এবং তার সহকর্মী রাসেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদের মধ্যে রাসেল চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা এবং সুফিয়ান ভোলার চর ভেদুরিয়া গ্রামের জাফর আলীর ছেলে।
সুফিয়ানের হত্যার খবরে চর ভেদুরিয়া গ্রামে বইছে শোকের মাতম। বিকেলে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাবা-মাসহ আত্মীয়স্বজনরা তার লাশের অপেক্ষায় বাড়ির সামনে বসে আছেন। অঝোরে কাঁদছেন বাবা-মা।
সুফিয়ান ঢাকার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। যে ফ্ল্যাটে তাকে এবং তার সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে তারা দু’জনেই থাকতেন।
সুফিয়ানের মা-বোন এবং স্বজনরা জানান, সোমবার রাতে শেষবারের মতো সুফিয়ানের সঙ্গে তার মায়ের কথা হয়েছিল। পারিবারিক কথাবার্তা শেষে সুফিয়ান ঘুমিয়ে পড়েন। মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে সুফিয়ানের শ্যালক মুঠোফোনে তাদেরকে এ হত্যাকাণ্ডের কথা জানান।
কারো সঙ্গে সুফিয়ানের শত্রুতা নেই জানিয়ে তার পরিবার বলছে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সুফিয়ানের বন্ধুরা জড়িত থাকতে পারে। অজ্ঞাত কোনো কারনে বন্ধুরা সুফিয়ান এবং রাসেলকে হত্যা করেছে বলে মনে করছেন তারা।
ভেদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন জানান, সুফিয়ান ছেলে হিসেবে খুবই ভালো। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। তিনিও ধারণা করছেন, অজ্ঞাত কোনো কারনে তার বন্ধুরা এ হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে। তিনিসহ স্থানীয়রা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম সন্ধ্যায় জানান, সুফিয়ান এবং রাসেলের মরদেহ দুটি ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান