ইয়ামিন হোসেনঃ
মসজিদের ইমাম পিটিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করা কে এই আনসার আলী তার খুটির জোর কোথায় এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে সাংবাদিকরা যান ভেদুরিয়ার ৪ নং ওয়ার্ডে, আনসার আলী নিজেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের ভোলা জেলার স্ব-ঘোষিত সহ সভাপতি দাবি কলেও তার বিরুদ্ধে হরতাল অবরোধে গাড়ি পোরানো মামলাসহ বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা। আরসার আলীর ৫ ছেলের মধ্যে কয়েক জন বিদেশে টাকা কামিয়ে দেশে ফিরেছেন। এছাড়াও অবৈধ খতিয়ান খুলে এলাকার চরে কিছু জমি দখল করে তা বিক্রি করে একটি সুদের অবৈধ নাম হীন মাল্টিপার্পাস কোম্পানী খুলেছেন। ওই কোম্পানীর পাস বই দিয়ে প্রতিদিন সুদের কিস্তি উঠান তার লাঠিয়াল কাহীনী। এসব কারনে তদন্ত কেন্দ্রের আইসি সহ প্রশাসনের নিচু শ্রেনীর লোকের সাথে রয়েছে তার ভাব। এই প্রভাবেই তিনি হয়ে উঠেন ভেদুরিয়া গ্রামের দাদা ভাই।
এ কারনেই ভোলার ভেদুরিয়ায় সুদ ঘুষের বয়ান করায় ইমাম লাঞ্ছিত করেছে সুদের দোকানদার । জমি উদ্ধার করে মদ্রাসা ও জামে মসজিদ খুলে দিয়ে অভিযুক্ত আনসারের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
বাংলাদেশে ইমামরা সবচেয়ে কম বেতনে চাকুরী করা ইমামদের লাঞ্ছিত হতে হয় অবৈধ সুদের কারবারিদের হাতে। সুদের ওয়াজ করায় মসজিদের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন মসজিদের সেক্রেটারি সুদের কারবারী।
ইমাম সুদ, ঘুষের বয়ান করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আনসার আলী। ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ফরাজী বাড়ী দরজা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নুরনবীকে পিটিয়ে মসজিদ থকে বের করে দেন। ইমাম বের করে দেওয়ায়
বর্তমানে ঐ মসজিদ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে এবং ইমাম কে লাঞ্ছিত কারী স্থানীয় প্রভাবশালী আনসার হাওলাদারের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ করেছে মুসুল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকালে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, প্রভাবশালী আনসার হাওলাদারের ক্ষমতার দাপট আর সেই দাপট দেখাচ্ছেন মসজিদের ইমামগণের সাথে এর আগেও দুইজন ইমাম কে লাঞ্ছিত করে মসজিদ থেকে বিদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন মুসুল্লিরা, এলাকার মুসুল্লিরা যেন অসহায় প্রভাবশালী আনসারের কাছে।
মুসুল্লিরা বলেন, হুজুর সুদ ঘুষের ওয়াজ কেনো করে? এই জন্য তাদের গালমন্দ করেন এবং কিছু হলেই মারতে জান আর আমরা যারা হুজুরের পক্ষ নিয়ে কথা বলি তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে আনসার হাওলাদার ও তার ছেলেরা।
আনসার হাওলাদারের আপন ভাতিজা লোকমান হোসেন বলেন, আমার চাচা হুজুরদের সাথে এমন খারাপ আচরণ করায় আমি প্রতিবাদ করি এই জন্য আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আমার চাচা, এমন কি আমার বাবা
মসজিদের সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন হাওলাদার কে আমার চাচাতো ভাই আলাউদ্দিন গতকাল মারধর করতে আসছে।
মাদ্রাসার ছাত্র কামাল, মহসিন, হযরত আলী, জিহাদ বলেন আমাদের হুজুর কত ভালো মানুষ,আনসার হাওলাদারের জন্য কোন হুজুর থাকতে পারে না তিনি মারতে যান এবং তার স্ত্রী ঝাড়ু নিয়ে মাদ্রাসায় আসে হুজুর কে পেটাতে, আপনারা আমাদের নুরনবী হুজুর কে এনে দিন।
মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা জামাল উদ্দিন বলেন, ভাই কি আর বলবো আমরা আলেম মানুষ আমাদের সাথে উনি যেই আচরণ করছে তা ভাষায় বলা যাবেনা, আমি আল্লাহ্র কাছে বিচার দিয়েছি।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আনসার হাওলাদার বলেন, আমি একজন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের ভোলা জেলার সহ সভাপতি আমার বক্তব্য ক্যাসেট করতে হলে আগে জিজ্ঞেস করে নিবেন। আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কতটুকু সত্য?এ প্রশ্নের জবাবে আনসার আলী বলেন, হুজুর সুধু কোরআন হাদিস পড়বে পড়াইবে, সুদের ব্যাবসার বিরুদ্ধে ওয়াজ করে কেন? আর আপনারা বুঝে শুনে আমার বিরুদ্ধে লিখবেন।