ভোলার এক কসাই ডাক্তার বনাম মোস্তাক শাহিন

জামিল হোসেনঃ
ডাক্তাররা কসাই হবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে ইসলামিক আলখেল্লা পরে কসাই গিরি এটাই মানতে পারছেননা ভোলার ধর্মপ্রান মানুষ।
ভোলার একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল কাদের ও ভোলার এক সময়ের তুখোর ছাত্র নেতা মোস্তাক আহমেদ শাহিন। ডাক্তার কাদেরকে নিয়ে তিনি ফেইসবুকে একটি স্টাটাস দিয়েছেন। স্টাটাসটি ভোলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছে। ভোলা নিউজের পাঠকদের জন্য তা হুবাহু তুলে ধরলামঃ

নিম্মে তুলে ধরা হলো :
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অাব্দুল কাদের মহোদয় যা করলেনঃ-

২৩ বছর বয়সী একজন মায়ের কোলে দেড় মাস বয়সী একটি শিশু সন্তান। গতকাল সন্ধ্যার পর বাচ্চাটির অাচমকা দেখা দেয়া প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট। নাড়ি ছেঁড়া ধনকে নিয়ে উদভ্রান্ত মা ভোলা শহরের লক্ষী মেডিকেল হলে ফার্মাসিষ্ট রাম কিশোর টিটু দা’র চেম্বারে গেলে তিনি তাৎক্ষনিক হাবিব ক্লিনিকে প্রাইভেট প্রাক্টিসরত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অাব্দুল কাদের এর কাছে যেতে বলেন। পাগলীনী মা বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে ছুটে যান হাবিব ক্লিনিকে। ডাঃ অাব্দুল কাদের এর তখন টিনের বাক্স ১২ টাকা অর্থাৎ রোগীদের বিশাল সিরিয়াল। ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে গিয়ে যখন শিশুটির অবস্থা অারো নাজুক হয়ে পড়ে তখন উপায়ান্তর না পেয়ে অশ্রুসজল নয়নে বাচ্চাটিকে নিয়ে মা ঢুকে পড়ে ডাঃ কাদের সাহেবের চেম্বারে।

এরপর শুরু হলো ডাঃ অাব্দুল কাদের এর চিৎকার চেঁচামেচি। ইংরেজীতে গেট অাউট। নাছোড়বান্ধা মা’র কাকুতি স্যার অামার সন্তানটি মারা যাচ্ছে। প্লিজ একটু দেখুন। নাহ। কোন মিনতিতে কাজ হয়নি। সিরিয়ালের বাহিরে তিনি বাচ্চা মারা গেলেও দেখবেন না। দেখেনও নাই। অগত্যা অসহায় মা মুমুর্ষ সন্তানটিকে বুকে জড়িয়ে অাবার ছুটলেন দিকবিদিক। শেষাবধি অারেক শিশু বিশেষজ্ঞ ডক্টর অচিন্ত্য কুমার শিশুটির তাৎক্ষনিক অক্সিজেন অানুষাঙ্গিক ট্রিটমেন্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দিলেন। রাতভর শিশুটি অভজারভেশনে অার তার হতভাগী মা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে কিছুক্ষন পুর্বে বাবুটার স্থিতিশীল অবস্থার খবরে কান্না থামালেন।

মন্তব্যঃ-ডাঃ অাব্দুল কাদের সাহেবকে দেখলে যে কারো সমীহ করতে হবে। তার শশ্রুমন্ডিত সুন্দর চেহারা, অার ধার্মিক লেবাস দেখলে। ভোলায় তিনি দীর্ঘ দিন। কামাই রোজগার ও বেশ মাশাঅাল্লাহ। থাকুন খেয়ে দেয়ে ভাল অসুবিধা তো নাই। কিন্তু ফেরেশতার মতো চেহারার মানুষটা স্যার অাপনি কাজটা কেমনে অাজ্রাইলের মতো করলেন? অাপনি তো ডাঃ অাব্দুল কাদের স্যার। মীরপুরের রাজাকার কসাই কাদের তো না। অাপনার কর্মেতো মনে হচ্ছে মীরপুরের কাদের মোল্লার ফাঁসিটা না হয়ে অাপনার হওয়া উচিত ছিল।

অাপনার সিরিয়াল অাগে না শিশুটির জীবন অাগে? কোনটা? বাচ্চাটির অবস্থা সঙ্গীন দেখে অন্য রোগীর গার্ডিয়ানরাই ওই অসহায় মাকে বলেছিলেন অাপনি অাগে যান। অার অাপনি কতোটা মানুষের অাদলে অমানুষ যে বাচ্চাটির মাকে তো বকাঝকা করলেন, বাচ্চাটিকে ছুঁয়েও দেখেননি, অসুস্থ্য বাচ্চার মা কাকুতি মিনতি কেন করছে তার জন্য রীতিমতো তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন।

ডাঃ অাব্দুল কাদের স্যার, অাপনি যে অসহায় মাকে রীতিমতো অর্ধচন্দ্র দিয়ে চেম্বার থেকে বের করে দিলেন সে অামার মায়ের পেটের ছোট বোন। অার অামার বোনটি এতোটাই বোকা যে তাৎক্ষনিক যে একটু জানাবে অামাকে সেটাও করেনি। সারা রাতেও বলেনি। অামি এখন জানলাম তাও তৃতীয় পক্ষের কাছে। বোনকে জিজ্ঞেস করলাম। কান্না জড়িত কন্ঠে শুধু বলছিল থাক ভাইয়া। তুই রাগ হইসনা। মানুষকি অার দেখে চেনা যায়? কিং কর্তব্য বিমুঢ় অামি।

বিষয়টি মাননীয় সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানিয়েছি। দেখি তিনি কি সল্যুশন দেন। ডাঃ কাদের স্যার অাপনাদের স্বাচিপ অাছে ড্যাব অাছে। অামাদের কাছে অাছে বাশি। নিজেদের নুনু কেঁটে বাঁশি বানিয়ে বাজাই অার এ শহরে ঘুরি। সিএস স্যার সল্যুশন না দিতে ভোলায় অাপনার প্রাইভেট প্রাক্টিশ বন্ধ স্যার। দয়া করে কোন ক্লিনিক চেম্বারে বসবেন না। বসলে পুলিশী প্রটেকশনে বসবেন। ধন্যবাদ। শুভ কামনা।

SHARE