ইব্রাহিম আকতার আকাশ: ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে কোড়ালিয়া গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জমি দখলকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হামলায় নারীসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতরা হলেন, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সিরাজ খান, তাঁর ছেলে বিল্লাল ও হেলাল খান এবং তাঁর স্ত্রী ও এক মেয়ে। এদের মধ্যে বিল্লাল ও হেলাল ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের সেরাজুল হক গাজীর ছেলে আলম গাজীসহ তাঁর ভাড়াটিয়া বিএনপির লোকজন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে একই গ্রামের আলম গাজীর সঙ্গে তাদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন সেই বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সালিসি বৈঠক হয়৷ একপর্যায়ে জমির সীমানা প্রাচীর বসানো নিয়ে আলম গাজীর গ্রুপের সঙ্গে সিরাজ খানের ছেলে বিল্লালের তর্কবিতর্ক বাঁধে।
পরে সেই তর্কবিতর্ক মিমাংসা করার জন্য আলম গাজী স্থানীয় বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে সিরাজ খানের বাড়িতে যায়। একপর্যায়ে সেখানে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সিরাজ খান, তাঁর ছেলে বিল্লাল ও হেলাল এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে এবং কুপিয়ে জখম করে ঘরে লুটপাট চালায়।
সিরাজ খানের স্ত্রী ও মেয়েকে শ্লীলতাহানি করার পাশাপাশি ঘরে থাকা মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, আলম গাজী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে সিরাজ খানের পরিবারের উপর এই অতর্কিত হামলা চালায়। যা খুবই ন্যাক্কারজনক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলম গাজীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ কিংবা মামলা সদর থানায় করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।