টিপু সুলতান।। সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে সদর উপজেলা রাজাপুর ও বাপ্তা ইউনিয়নে।এ দৃশ্যটি যে কাউকেই কাছে টানবে। দুরন্ত শৈশবে কাঁচা-পাকা আম পাড়ার আনন্দ অনেকেরই স্মৃতিতে চির অমর। তাছাড়া বর্তমানে আম বাংলাদেশের প্রধান চাষযোগ্য অর্থকরী ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম।বৈচিত্রপূর্ণ ব্যবহার, পুষ্টিমান এবং স্বাদ-গন্ধে আম একটি অতুলনীয় ফল। বিশেষ করে শীতের শেষে যখন আমের মুকুল আসে, আর সেই মুকুল থেকে যখন ছোট ছোট আম বের হয়, সেই আম পাড়তে গিয়ে মায়ের বকুনী বৃদ্ধ বয়সে ও অনেকের কাছে স্মৃতিপটের চেনা ইতিকথা । উপজেলার অনেক স্থানে এবার আগাম আমের মুকুল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।সদর উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় অনেক এলাকায় আমের চাষ করা হয়। সারা উপজেলা জুড়ে লক্ষাধিক আমের গাছ ও ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক আমের বাগান রয়েছে। আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে।এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হচ্ছে। হিমসাগর, চোষা, , ল্যাংড়া, ফজলি, আমরুপালি, ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয় এ অঞ্চলে।সরেজমিনে আমচাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন। তাদের মতে, এ উপজেলার সর্বত্র আমের মুকুল দেখা গিয়েছে।এসব এলাকার কোনো কোনো গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আম গুটি।বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।উপজেলার চরমনষা গ্রামের আম চাষী ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লাহ বলেন, আমার আম বাগান আছে। এখানে হরেক রকমের জাতের আম গাছ রয়েছে। সবগুলো গাছই মুকুলে ছেয়ে গেছে। এ বার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন বলেন, ভোলায় প্রতিটি অঞ্চলে গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল দেখা যাচ্ছে। আধুনিক পদ্ধতিতে প্রতিনিয়ত আম চাষী ও গাছ মালিকদের সঠিকভাবে মুকুল পরিচর্যা করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান