অনলাইন ডেস্ক।। ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি টু মদনপুর রাস্তার মাথা রুটে জোরপূর্বক খেয়া পারাপারের চেষ্টা চালিয়েছে প্রভাবশালী নান্নু বাহিনী। এতে বাঁধা দিলে ঘাট ইজারাদারের লোক দাউদ হোসেন গালেবকে এলোপাথারী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। হামলায় গুরুতর আহত দাউদ হোসেনের বুকের ব্যাপক আঘাত লাগে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি খেয়াঘাটে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে হামলাকারী নাসির উদ্দিন নান্নুসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মোঃ মহাসিন গোলদার তুলাতুলি টু মদনপুর রাস্তার মাথা রুটের খেয়াঘাটের ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে খেয়া পারাপার করে আসছেন। প্রায় সময় নান্নু ও আরিফ বাহিনী জোরপূর্বক মহাসিন গোলদারের ইজারা নেয়া ঘাটে ভাড়া উত্তোলনের চেষ্টা করে। এছাড়াও ইজারাদার মহাসিনের নৌকা আটকে রাখে। এই রুটে নান্নু ও আরিফ গংরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের খেয়া (নৌকা) দিয়ে যাত্রী পারাপারে চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে ইজারাদার মহাসিন গোলদারকে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেয় নাসির উদ্দিন নান্নু বাহিনী। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে একাধিকবার চেষ্টা করলেও নান্নু বাহিনী তা তোয়াক্কা না করে তাদের ক্ষমতা দেখাতে শুরু করে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে আমাদের ট্রলার (নৌকা) যাত্রী নিয়ে নাছির মাঝি ঘাটে গেলে ট্রলার থেকে যাত্রীদেরকে জোরপূর্বক নাসির উদ্দিন নান্নুর নেতৃত্বে আজাদ, আরিফ, ফজলু, হুমায়ুন, কালু, বাবুল, নোমান ভুট্টু, হেলাল চৌকিদার বাহিনী তাদের ট্রলার নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাঁধা দিলে ইজারাদার মহাসিন গোলদারকে অকর্ত্যভাষায় গালিগালাজ করে নান্নুর নেতৃত্বে আজাদ, আরিফ বাহিনী। এক পর্যায়ে নান্নু ও আরিফ বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মহাসিন গোলদার ও তার লোকজনের উপর হামলা করে। হামলায় মহাসিন গোলদারের লোক দাউদ হোসেন গালেবকে আরিফ বাহিনী এলোপাথারী মারধর করে। এতে দাউদ হোসেনের বুকের প্রচন্ড আঘাত লাগে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ থেতলে যায়। হামলার শিকার দাউদ হোসেন জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। দাউদ হোসেনের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারী আরিফ গংরা। এসময় লোকজন এসে ঝড়ো হলে হামলাকারী আরিফ বাহিনী হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যায়। পরে লোকজন দাউদ হোসেনকে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার বুকে প্রচন্ড আঘাত লাগায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। বর্তমানে দাউদ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ব্যাপারে ভোলা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে মহাসিন গোলদার জানিয়েছেন।ঘাট ইজারাদার মহাসিন গোলদার বলেন, নাসির উদ্দিন নান্নু প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষমতা অপব্যবহার করে আমার ইজারা নেয়া ঘাটে জোরপূর্বক খেয়া পারাপারে চেষ্টা করে। এতে আমি বাঁধা দিলে আমাকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। মঙ্গলবার নান্নু বাহিনী অস্ত্রস্ত্র নিয়ে ঘাটে এসে জোরপূর্বক ট্রলার ছাড়ার চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে আমাকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায়ে নান্নু ও আরিফ বাহিনী হামলা চালিয়ে আমার লোক দাউদ হোসেন গালেব গোলদারকে এলোপাথারী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার অবস্থা খুবই খারাপ। উন্নত চিকিৎসার জন্য দাউদ হোসেনকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আমরা এই প্রভাবশালী মহলের হাত থেকে মুক্তি চাই। এ জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন নান্নু গংদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে ভোলা থানার ওসি মোঃ মনির উদ্দিন বলেন, ধনিয়া তুলাতুলি খেয়া পারাপারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান