ভোলায় ক্যাম্পের ছাদ থেকে আনসার সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।।

 

ইব্রাহিম আকতার আকাশ,: ভোলায় আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের ক্যাম্পের ছাদ থেকে ঝুটন চন্দ্র শীল নামে এক আনসার সদস্যের (সিপাহী) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ড্যান্ট মিডিয়ায় কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। যদিও মৃত ঝুটন চন্দ্র শীলের পরিবারের দাবি ঝুটন আত্মহত্যা করেনি, তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশ ঝুটনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সাহা ঝুটনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মৃত ঝুটন চন্দ্র শীল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর উপজেলার ছতরপুর গ্রামের সুধাংশু চন্দ্র শীলের ছেলে। সম্প্রতি ঝুটনের পরিবার ঝুটনের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করেছিল। নতুন বছরে সে বিয়ের পিরিতে বসার কথা ছিল।ভোলা আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট রুবায়েত বিন সালাম এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধে জানান, নির্বাচনের ডিউটি করার জন্য গেলো কয়েকদিন আগে পটুয়াখালী ক্যাম্প থেকে ভোলা ক্যাম্পে এসেছিল ঝুটন। সে এই ক্যাম্পেই থাকত। সকালে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্যারেড চলাকালীন সময়ে তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে অন্যান্য আনসার সদস্যরা দেখতে পায় ঝুটনের মরদেহ ক্যাম্পের ছাদের সিঁড়ির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। এরপর তিনি পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।এদিকে মৃত ঝুটন চন্দ্র শীলের বাবা সুধাংশু চন্দ্র শীল জানান, গেলো রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঝুটনের সঙ্গে তাদের মুঠোফোনে কথা হয়েছিল। তারা ঝুটনের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করেছেন। নতুন বছরে বিয়ের পিরিতে বসবে ঝুটন। পরিবারের কারো সঙ্গে তার মনোমালিন্য কিংবা ঝগড়াঝাটি নেই। সে কি কারনে আত্মহত্যা করতে পারে তার কোনো কারণও খোঁজে পাচ্ছে না পরিবার। পরিবারের দাবি যেকেউ ঝুটনকে মেরে ঝুলিয়ে রাখতে পারে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।ভোলা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন কুমার সাহা বলেন, ঝুটনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তার পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ভোলায় আসতেছে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।

 

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE