আমজাদ হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার
গত 21 শে জুন ভোট দিতে আসার অপরাধে প্রকাশ্যে দিবালোকে আব্বাস কে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়,বেশ কয়েকটি ছুরির আঘাতে খণ্ড-বিখণ্ড রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আহত আব্বাস। কোনরকম প্রাণে বাঁচলেও বর্তমানে তারা অবস্থা আশঙ্কাজনক।।
উল্ল্যখ ভোলার মনপুরায় গত 21 শে জুন ব্যাপক নির্বাচনী সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আসন্ন 2 নং হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উক্ত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের শুরু করতেই সকাল 9 টায় 4 নং কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আব্বাসউদ্দীনকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আহত আব্বাস উদ্দিন।।
আহত আব্বাস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আমি ভোট দিতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান হীরা, সন্ত্রাসী আওলাদ মাতাব্বর,সন্ত্রাসী সামছুদ্দিন (সাগর), সন্ত্রাসী মোঃ নুরুল হক, সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর,মোঃ জহিদ একত্রিত হয়ে অতর্কিত আমার উপর হামলা চালায়।। এ সময় সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান হীরা,ও আওলাদ মাতাব্বর ও ধারালো ছুরি দ্বারা আমার উপর আঘাত করে সন্ত্রাসী শামসুদ্দিন সাগরে নির্দেশে।। আরো অভিযোগ করে বলেন আহত পরিবারকে মামলা না করতে নানা ধরনের ভয়-ভীতি ও ও হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করেন সন্ত্রাসী মিজানুর রহমান হীরাসহ তার দোসররা।।
বাকি সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে আমাকে ধরে রাখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে সাহায্য করেন এবং আমাকে হত্যার চেষ্টা চালায়।। মুহুর্তের মাঝে রক্তাক্ত হয়ে যায় আমার শরীর এ সময় আমি কোনরকম দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে মনপুরা থানার ভিতরে ঢুকে পড়ি,কোন রকমে প্রাণে বেঁচে যায় আমার জীবন।। আমি মাননীয় পুলিশ সুপারের নিকট দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক।।
বিষয়টি নিয়ে ওসি মনপুরার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোনো মামলা হয় নাই আমি অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।।
সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পর্কে মনপুরা উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ নেই, লিখিত অভিযোগ পেলেই আমি ওসি মনপুরাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ প্রদান করব।।
বিষয়টি নিয়ে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার এর নিকট জানতে চাইলে,নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ থেকে দীপক বাহিনীর তান্ডবের শিকার হয়েছে প্রায় অর্ধশত পরিবার, প্রায় ত্রিশ জনের মত আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে, নির্বাচন বানচালের জন্য প্রার্থীর শাহরিয়ার দীপক অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, মনপুরার জনগণ চৌধুরী পরিবার অত্যাচারের অবসান চায় বলেই, ভোট যুদ্ধের মাধ্যমে তার উচিত জবাব দিয়েছে। অচিরে মনপুরা থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করে ও সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মনপুরার জনগণ প্রস্তুত রয়েছে।। আমি আহত আব্বাস উদ্দিনের সু-চিকিৎসা সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।। অন্যদিকে চৌধুরী পরিবার একটি অরাজগতা সৃষ্টি করে ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আমি ও আমার নেতাকর্মীদের নাম ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন ।। সন্ত্রাসী হীরা সহ সকল সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।।
বিষয়টি নিয়ে পরাজিত প্রার্থী শারিয়ার দীপককে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও এখন পাওয়া যায়নি।
এদিকে জানা যায় সন্ত্রাসীরা মিজানুর রহমান ছাত্রলীগের মনপুরা উপজেলায় বর্তমান কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন,সন্ত্রাসী আওলাদ মাতাব্বর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী, অভিযুক্ত শামসুদ্দিন উদ্দিন সাগর একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।।
উল্লেখ্য মনপুরা 2 নং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার কথা দিয়ে, কথা রেখেছেন প্রশাসন। প্রশাসনের অক্লান্ত পরিশ্রমে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় সকল ভোটারগণ নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত মনপুরাবাসী। কিন্তু এরপর এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা মূলহোতাগুলো এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।।