তাইফুর সরোয়ারঃ-
দিন কয়েক পরেই শুরু হবে পবিত্র রমজান। তাই করোনা আতঙ্কের মধ্যেও ভোলার বাজারগুলোতে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় বিক্রয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। মুদি দোকানগুলোতেই ক্রেতাদের ভীড় সবচেয়ে বেশি। করোনা পরিস্থিতি এবং রমজানে পন্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কায় অনেকেই সারা রমজানসহ ঈদের বাজার একসাথে করছেন। এতে করে ভীড় বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। পুলিশ, নৌ বাহিনী এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেলে ক্রেতারা কিছুটা দুরত্ব বজায় রেখে দাড়ালেও তারা চলে যাওয়ার পরে আবার শুরু হয় গাদাগাদি করে পন্য ক্রয় বিক্রয়ের চিরাচরিত রীতি। শহরের সদর রোড, খাল পাড় সড়ক এবং নতুন বাজারের মুদি দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। কিছু দোকানের সামনে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য তিন ফুট দুরত্বে সাদা বৃত্ত চিহ্ন দেয়া থাকলেও বেশির ভাগ ক্রেতাই সেই নির্দেশনা মানছেন না। দুরত্ব না মানার কারণ জিজ্ঞাসা করলে অনেক ক্রেতা জানান যে দোকনে অনেক ভীড় থাকায় দূর থেকে কোন পন্যের কথা বললে দোকানদার গুরুত্ব দেয় না। তাই কাছে এসে তারা পন্য কিনছে। কয়েকজন বিক্রেতা জানান যে তারা ক্রেতাদের নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে পন্য ক্রয় করতে বিনীত অনুরোধ করেন। বেশিরভাগ ক্রেতাই তাদের অনুরোধ রক্ষা করেন। কিছু ক্রেতা তাড়াহুড়ো করে পন্য নিতে গিয়ে ভীড় সৃষ্টি করেন।
বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হিসেবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশিষ্টজনদের মতে- প্রশাসনের ভয়ে নয়, নিজেদের সুস্থতার স্বার্থে সকলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ না মানলে বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে করোনা ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।