ভোরা জুড়ে ফণী আতঙ্ক জেলা প্রশসকের প্রস্তুতি সভা
মনজু ইসলামঃ
যতই সময় পেড়িয়ে যাচ্ছে ধেয়ে আসছে ঘূণিঝড় ফণী। ফণী নিয়ে চরম আতঙ্ক রয়েছেন ভোলা সহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। বার বার সতর্কবার্তা, প্রশাসনের তৎপরতায় আতংক ছড়াচ্ছে আরও বেশি। উপকুলীয় অঞ্চলের এলাকার মানুষ সরে যাচ্ছে নিরাপদ এলাকায়। ভোলা জেলার ৭টি উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষথেকে মাইকিং করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রন কক্ষ।
সবচেয়ে বেশি আতংক চরফ্যশনের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল গুলোতে কারন ওই চরগুলোর চার পাসে কোন বেড়ি বাধ নেই। ৭ থেকে ১০ ফিট জলচ্ছাসে ওই চর গুলো সাগরের সাথে একাকার হয়ে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসন দুপুর ১২টায় ঘূর্ণিঝড় ফনী মোকবেলা এবং ঝড় পরবর্তী করনীয় নিয়ে দীর্ঘ সভা করে। জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সভায় জেলার সকল উর্ধতন কর্মকর্তারাসহ এনজিও কর্মীরাও ফেনী মোকাবেলায় উপস্থিত আছে। উপকূলের মানুষ গুলোকে সরিয়ে নিতে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় খালি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকল কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ভোলা নিউজকে জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছ, এছাড়া ৬৫৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে যাতে ৬ লক্ষ লোক আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় ৭ উপজেলায় ইউএনওদের প্রধান করে ৭ টি নিয়ন্ত্রন কক্ষ খোলা হয়েছে এবং জেলা পর্যায়ে একটি সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রন কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল গুলো থেকে মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। জড় পরবর্তী সময়ের জন্য প্রচুর পরিমানে শুকনো খাবার মজুদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।