সিমা বেগম ভোলাঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত গনটিকাদান কর্মসুচীর আওতায় দেশব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোলার সাত উপজেলার ৬৮ টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌর সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৭ আগস্ট ) সকাল ৯ টা থেকে সারাদেশের ভোলা জেলাও এ কার্যক্রম শুরু হয়। আজ জেলার ৬৮ ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভায় ৪৬ হাজার ২০০ জনকে এ টিকা দেওয়া হবে।এদিকে সকাল থেকে ভোলা সদর উপজেলার দঃ দিঘলদী ইউনিয়নের সাধারন মানুষ করোনার টিকা নেওয়ার জন্য ছুটে আসছেন টিকাদান কেন্দ্র, বাংলাবাজার ফাতেমা খানম মা ও শিশু কেন্দ্র । টিকাদান বুথে গিয়ে টিকা গ্রহন করছেন ১,২,৩নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তবে সকালে বৃষ্টির শুরু হলেও ছাতা মাথায় দিয়ে মানুষ আসছেন টিকা নিতে। দঃ দিঘলদী ইউনিয়নে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। টিকাদান কেন্দ্র আসা মানুষদের সার্বিক সহযোগিতা করার পাশাপাশি টিকা নিতে আশা মানুষদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাদের মাক্স নেই পরিষদের পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জনাব তৌফিক -ই-এলাহী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ভোলা।এবং পুলিশ সুপার ভোলা, সরকার মোহাম্মদ কায়সার। জনাব ডাঃ কে এম শফিকুজ্জামান, সিভিল সার্জন, ভোলা।দঃ দিঘলদী ইউনিয়নে পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতারুল হাসান স্বপন। অফিসার ইনচার্জ ভোলা সদর মডেল থানা, অফিসার ইনচার্জ দৌলতখান থানা ভোলা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তজুমদ্দিন থানাধীন বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ কে এম শফিকুজ্জামান বলেন আজ (৭আগস্ট) শনিবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত। এসময় ভোলার জেলার ৬৮ টি ইউনিয়নে ৪০ হাজার ৮০০ ও তিনটি পৌর সভার ৫ হাজার ৪০০ জন মানুষকে এ টিকা দেওয়া । প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০০ করে ও প্রতিটি পৌরসভায় সভায় ১৮০০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, টিকা কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করতে দক্ষ জনবল রয়েছে।