শিক্ষা প্রতিনিধি#
ভোলায় শিক্ষা বানিজ্য বন্ধে কঠোর নিদর্শনা দিয়েছেন বলে সাফ জানিয়েছেন ভোলা জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) । তিনি বলেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অবৈধ নীতিমালা পরিপন্থী কাজ জাড়িত সকল শিক্ষা বানিজ্যক প্রতিষ্ঠান খুজতে অভিযান চালু থাকবে বললেও শিক্ষা বানিজ্য নিয়ন্ত্রনে মাঠে এখনো চোখে পড়নি প্রশাসনকে।।
উল্ল্যখ, ভোলায় অনুমোদন বিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাড়া ছাড়ির অভিযোগ উঠে এসেছে, নামে বে-নামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে অনুমোদনহীন, পাঠদানবিহীন ও স্বকৃতি বিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি চলছে শিক্ষা বাণিজ্য এবং প্রতারিত হচ্ছে সাধারন মানুষ অথচ নির্বাক হয়ে ঘুমিয়ে আছেন ভোলা প্রশাসন ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণ।
অন্যদিকে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাকে পণ্য করে বছরে ইচ্ছামত হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকারি নিয়ম নীতিমালা ছাড়াই ইচ্ছামত গ্রহন করছে মাসিক ফি, পরীক্ষা ফি, আবাসিক ফি। সরকারি নীতিমালায় দুটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয় তিন থেকে চারটি পরীক্ষা, মোট অংকের পরীক্ষার ফি।
প্রাথমিক শিক্ষানীতিমালার বাহিরে থেকে শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পড়ানো অভিযোগ রয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রাইভেট পাড়ানো আদলে নেওয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অদক্ষ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করতে দেখা যায় শহরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ঘুড়ে। বেশিভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদ্বারা পাঠদান করা হয় এবং পাঠদান অনুমতি রয়েছে ৫ম বা ৮ম শ্রেনীর অথচ সেখানে ভর্তি করানো হয় কলেজ লেভেল পর্যন্ত। এমনকি কোথাও কোন অনুমতিই নেই সেখানে লিখে রেখা হয়েছে কলেজ, ইচ্ছামত লিখা হয় ক্যাডেট স্কুল কলেজ, এতে সাধারন মানুষকে হতে হয় হয়রানির স্বীকার। শিক্ষার্থীদের থেকে নূন্যতম নার্সারী থেকে একাদশ শ্রেনী পর্যন্ত মাসিক টাকা গ্রহন হয় ৬৫০০- ৮৫০০ টাকা পর্যন্ত।।
এ ধরনের শিক্ষা নৈরাজ্যের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান করছেন ভোলার লালমোহন হা-মিম স্কুল এন্ড কলেজে। শুধু মাত্র ৮ম শ্রণী পর্যন্ত অনুমোদন থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি পাঠদান করছেন,একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত৷ এ প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে রয়েছে আবার অনুমোদনের শর্ত না মানার অভিযোগ। শিক্ষাকে পন্য করে বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছ লাখ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া গেলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।।
বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ এ বিষয়ে শিক্ষা বিভাগ ও ভোলা প্রশাসনের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হক ভোলা নিউজকে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদানে কোন অনুমোদন নেই বলে নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছে এ বিষয়ে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ভোলায় নিয়ন্ত্রণহীন বেসরকারী শিক্ষা খাতে সরকারি কোন মনিটরিং নেই বলে ই শিক্ষাকে বানিজ্যিক পন্য করার সুযোগ পায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালক বলে দাবী করেছেন স্থানী শিক্ষাবিদ প্রফেসার পারভিন আক্তার।
আসছে বিস্তারিত…. ১২ টি পর্বে হামিম একাডেমির শিক্ষা নৈরাজ্যে নিয়ে।।