বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের বাটামারা ৫নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির জায়গাজমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রতার জেরধরে একই পরিবারের অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্যর স্ত্রী সন্তান সহ তিনজনকে কুপিয়ে যখম করেছে প্রতিপক্ষ বাড়ির স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
বর্তমানে আহতরা সবাই ভোলা সদর হাসপাতালে পুরুষ এবং মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনার তথ্যসূত্র যানা যায়, গত ১৭এপ্রিল২০২০ইং শুক্রবার রাত ১০.৩০মিনিটের সময় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোঃশহিদুল ইসলাম (৬০) পিতা.মৃত:জয়নাব উদ্দিন হাওলাদার,কে তার নিজ বসতবাড়ির উঠানে পূর্ব শত্রুতার জেড়ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী একই বাড়ির বাসিন্দা ও তার ভাই ভাতিজারা মোঃ ইসমাইল(৩৫) মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ হাসান,আবদুল খালেক,এবং সোহেলসহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন রাতের আধারে ওতপেতে থেকে এলোপাতাড়ি বিভিন্ন দেশিয় অস্রহাতে কুপিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তার ছেলে বাবার চিৎকারে শুনে ঘরের বাহিরে বাচাতে ছুটে আসলে মোঃ আলাউদ্দিন(২৫)কেও কুপিয়ে যখম করে তার। একপর্যায়ে স্বামী ও সন্তানের বাচাতে তার ঘরে থাকা স্ত্রী মমতাজ বেগম(৪৫)ছুটে আসলে একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসীরা তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।
পরে পরিবারের আহতদের সকলের ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী ছুটে আসলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা স্থানীয়দের উপস্থিতি টেরপেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগকরে। পরে এলাকাবাসী আহতদেত গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আহতদের অবস্থার অবনতি দেখে, তিনজনকে ভোলা সদর সরকারি হাসপাতালে রেফার করেন। ভোলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের তিনজনের মধ্যে পুরুষ দুইজনকে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখলেও সাবেক সেনাসদস্যর স্ত্রী মমতাজ বেগম(৪৫)এর মাথায় কোপের আগাতের ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে আশংকাজনক অবস্থায় ভোলা মেডিকেল থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে রেফার করেন বলে জানান ভোলা সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার।
আহত শহিদুল ইসলাম আরো জ জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্নসময় তাদের হত্যার উদ্দেশ্য আগেও হুমকি দিয়েছে।যদিও এ বিষয়টি এলাকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও তারা কোন সমাধান পায়নি বলে জানায়। এব্যপারে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মনিকা ইউনিয়নের চেয়্যারমেন মোঃ জসিম উদ্দিন হায়দার মুঠোফোনে জানান, উক্ত ঘটনার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন।এবং তাদের পূর্ব পারিবারিক দন্ড রয়েছে।তাছাড়া বিষয়টি তার ইউনিয়ন পরিষদে বিচারাধীন রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক করোনার পরিস্থিতির কারনে তাত সমাধান করতে কিছুটা বিলম্বিত হয়। তিনি আহতদের চিকিৎসার খোজখবর নিয়েছেন।এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই তার পক্ষহতে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে সাবেক সেনাসদস্যর পরিবারের উপর এমন হামলার ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে, ভোলার অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র সেনা কল্যাণ সংস্থার ( অসকস)এর ভোলা জেলা শাখার সভাপতি কর্পোরাল অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নুরে আলম এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছে।তারা তাদের পক্ষহতে আহতদের পরিবারের চিকিৎসার খোজখবর নিচ্ছেন বলে জানান।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান,উক্ত হামলার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন।এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে, পুলিশের পক্ষহতে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।