নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সরকারি খাল দখল করে প্রবাহমান পানিকে বাধা সৃষ্টি করে ব্রীজ করে নির্মাণ। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক তথ্য চাওয়াতে ভুক্তভোগী সোহেল চড়াও হয় সাংবাদিকদের উপর এবং হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে জিডি নং ১১৭৭
গতকাল শনিবার ২৩ মার্চ/২০২৪ইং বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জেরহাট বাজারের পূর্ব পাশে মেইন রোডের পাশে খালের উপর সরকারি আদেশ ব্যতি রেখে নিজেদের ইচ্ছেমতো মুল খালের ব্যাসার্ধ পরিধি কমিয়ে আরসিসি ব্রীজ করাতে গণমাধ্যম কর্মী, মোঃ সোহেল পিতা মোঃ নাগর মিয়া কে প্রশ্ন করেন এই ব্রীজ খালের পরিধি কমিয়ে কেন করছেন? এটা কি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে করছেন? এই বিষয়টা তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা UNO স্যার কে মুঠোফোনে অবগত করানো হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেলকে সাংবাদিকের মুঠো ফোনের মাধ্যমে নির্দেশ দেন যে ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ রাখতে। কিন্তু সোহেল এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক এম এন আলম এর ছবি মুঠো ফোনে ধারণ করে বলেন, আপনি তো রাস্তায় ট্রাক নসিমনের নিচে পরে এক্সিডেন্ট করতে পারেন। হুমকি প্রদান করেন।
সোহেল তাৎক্ষণিক বলে আমার কুঞ্জেরহাট বাজারে ১০-১২টি গাড়ি আছে। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসির সাথে ও সম্পর্ক আছে। আপনি আমাদের কাজ বন্ধ করিয়ে আমার ক্ষতি করেছেন। আপনিও এটার রেজাল্ট পাবেন বলে হুমকি প্রদর্শন করেন।
তখন উক্ত ঘটনার সময় মোঃ নজরুল ইসলাম নামে সোহেলের একজন চাচা ছিলেন।উনি সোহেলর খারাপ আচরণ নিজ চোখে দেখেন এবং তা স্বীকার করেন। সোহেলের কথা হল সাংবাদিক কেন এসে আমাদের কাজে বাধা দিবেন আমরা কি কোন নরমাল ফ্যামিলির ছেলে?
কিন্তু এখানে সোহেলের চাচা নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন যে আমরা নদী ভাঙ্গা লোক আমরা এখানে এই জমিটা ক্রয় করেছি,এখানে বাসা করবো তাই আমরা এখানে একটা সুন্দর দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ করতে চাই।
এই বিষয়টি নিয়ে গতকালকেই ঘটনাস্থলে একজন মুরুব্বী এবং সোহেলের চাচা মুরুব্বীরা সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন যে UNO স্যার যখন ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন ঢালাই বন্ধ থাকবে,কিন্তু দুঃখের বিষয় হল কালকে বিকেলেই, সরকারের আদেশ কে অমান্য করে ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
বিষয়টি সাধারণ জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে,সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে তথাকথিত সোহেল ব্রিজের কাজ চালিয়ে যায়।
ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান