মিলি সিকদার ঃবোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জামাদার বাড়ীর ছোলেমানের বড় মেয়ে রুমা (২৫) একই এলাকার মৃধাবাড়ীর নেজামলের ছেলে গোফরান (৩০) দুইজনই রাবিতায় চাচা, ভাতিজি তাদের ৭ মাস ধরে এই সম্পর্ক গড়ে উঠে। গোফরানের বৌ অনেক আগ থেকে তাদের সম্পর্কে জানে। গোফরানের স্ত্রী লাইজু জানান – আমার স্বামী যখন রাত ১ টা বাজে বাসায় আসেনা তখন আমার স্বামীর ওপর সন্দেহ হয়। আমি রুমাগো বাড়ীর পিছনে বাগানের ভিতর দেখি আমার স্বামী ও রুমা এক সাথে আপত্তিকর অবস্থায়, এটা দেখে আমার শ্বশুরের কাছে এসে তাকে গুম থেকে জাগিয়ে নিয়ে যাই, আমার শ্বশুর সহ তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় পুনরায় দেখি। আমার শ্বশুর নেজামল মৃধা রুমাকে বলে রাত ১.৩০ মিনিটে তুমি এখানে কি কর, রুমা বলে আমার প্রবাসী স্বামীর সাথে কথা বলতেছি,তখন নেজামল বলে দেখি কার সাথে কথা বল এই বলে মোবাইল টান দিয়ে দেখে কারও সাথে কথা বলেনা। এই বলে আমার শ্বশুর রুমাকে থাপ্পর মারে, আমার স্বামী আমাকে ঐখান থেকে মারতে মারতে আমাদের বাসায় সামনে আনে আমার ননদ এসে আমাকে হেফাজত করে। গোফরানের স্ত্রী লাইজু জানান – এই মেয়ে তার আপন বিয়াইর সাথেও অবৈধ মেলামেশা করেন তাও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা শালিশ করে মিমাংসা করে দেন। আমি আইনের কাছে বিচার চাই – তাদের উভয়কে এমন শাস্তি দেওয়া হউক যাতে ভবিষ্যতে এমন কাজ আর কেউ না করে। এলাকার স্হানীয় সাধারন জনগন জানান – ছোলেমানের মেয়ে রুমা আসলেই একজন খারাপ প্রকৃতির মহিলা। রুমা এই রকম অনেক ছেলেদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সংসার নস্ট করেছে। গোফরান পেশায় একজন কারেন্ট মেস্তরি মানুষের বাড়ীতে গিয়ে কাজ করে আর সুন্দর মহিলাদের নাম্বার সংগ্রহ করে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত হয়। এলাকার স্হানীয় লোকজন বলে নেজামলের ছেলে গোফরান এই রকম একাধিক সংসার নস্ট করেছে তার বিচার কেউ করেনা, সে এলাকার মোড়ল, মাতাব্বর কে ধরে অন্যায় থেকে পার পেয়ে যায়। আমরা গোফরানের আইনত বিচারের দাবী জানান।