বোরহানউদ্দিনের কশাই হেলাল কর্তৃক সাংবাদিকদের নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা,সাংবাদিক সমাজের নিন্দা

#######################
মাসুদ রানা ভোলা জেলা দক্ষিণ।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ৭নং ওয়ার্ড (মির্জাকালু কাজিরহাট) বাজারের মাদকাসক্ত কশাই হেলাল কর্তৃক বোরহানউদ্দিনের তিন সাংবাদিক চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন।

সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত কশাই হেলাল রাজধানীর মিরপুর ৬নাম্বারস্থ সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমকে কোনো এক গভীর রাতে (হেলালের) ০১৭২৮৮১৩১৩৭ ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে কল করে অশ্লীল কথাবার্তা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে (মাকসুদা বেগমকে) বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে তাঁর উলঙ্গ ছবি চাওয়া সহ তাঁর সাথে রাত্রি যাপনেরও কুপ্রস্তাব দেয়। পরে মাকসুদা বেগমের কাছ থেকে কোনো প্রকার ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে তাঁর (মাকসুদা বেগমের) মোবাইল নাম্বারটি বিভিন্ন লোককে দিয়ে মাকসুদা বেগমকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে।

তারই ধারাবাহিকতায় কশাই হেলাল তাঁর এলাকার খলিল নামক জৈনক ব্যক্তিকেও মাকসুদা বেগমের ফোন নাম্বারটি দিয়ে উত্ত্যক্ত করায়। পরে মাকসুদা বেগম বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে খলিল নামক ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে জানতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাংবাদিক মোর্শেদকে বিষয়টি অবহিত করলে সাংবাদিক মোর্শেদ অভিযুক্ত খলিলের সাথে সাক্ষাৎ করে। এবং তাঁর (খলিলের) একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয়।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে অভিযুক্ত খলিল বলে আমি এ মহিলা (মাকসুদা বেগম) সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, হেলাল প্রথমে একদিন আমার ব্যক্তিগত ফোন দিয়ে তাঁর (মাকসুদা বেগমের) সাথে কথা বলে। তারপর আমাকে মহিলার নাম্বারটি দিয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে বললে আমিও মহিলার সম্পর্কে কিছুই না জেনে হেলালের শিখানো কথানুযায়ী মহিলার সাথে বিভিন্নরকমের কথা বলি। কিন্তু মাকসুদা বেগম নামের মহিলার কাছ থেকে কোনো রকমের সন্তোষজনক জবাব তো দূরের কথা উল্টো আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানোর কারণে আমি তাঁর ফোন নাম্বারে কল করা বন্ধ করে দেই।

পরে সাংবাদিক মোর্শেদের প্রশ্নের জবাবে খলিল তার অপরাধের কথা স্বীকার করে বলে, হ্যাঁ, আমি হেলালের শিখানো কথানুযায়ী এধরণের কাজ করে সত্যিই অনেক বড় অপরাধ করেছি এর জন্য আমি লজ্জিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এধরণের কাজ আর কখনোই করবো না।
অভিযুক্ত খলিলের বক্তব্যনুযায়ী সকল নাটের গুরু হেলাল কশাই প্রমানিত হওয়ায় সিএনএন বাংলা টিভির সাংবাদিক মোর্শেদ ও দৈনিক সত্য সংবাদের বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি সাংবাদিক রিয়াজ ফরাজি তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- “ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাজিরহাটের কশাই হেলাল মহিলাদের ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে প্রথমে নিজেই প্রেম করার চেষ্টা করেন, পরে ব্যর্থ হলে অন্য লোকের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করান। হেলালকে আইনের আওতায় আনতে ভুক্তভোগীদের দাবি।”

মূলত ফেসবুকের এই পোস্টেরই জের ধরে কশাই হেলাল পোস্টকারী সাংবাদিক মোর্শেদ ও সাংবাদিক রিয়াজ ফরাজি এবং তাঁর (হেলালের) পূর্ব শত্রুতা উদ্ধারের জন্য দৈনিক তৃতীয় মাত্রা ও বরিশাল ক্রাইম নিউজের বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি সাংবাদিক হাসনাইন আহমেদ হাওলাদারকে সহ তিন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

যার ধারা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ইং এর ২৫/২৯/৩১ এবং অভিযোগ আসামীগন দুষ্ট দুর্দান্ত, পরবিত্ত লোভী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, বখাটে, নেশাখোর, অন্যায় অপরাধী প্রকৃতির লোক বটে। নেশা করা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, এলাকায় চাঁদাবাজি করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের নামে বিভিন্ন খারাপ পোস্ট দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া আসামীদের নেশা ও পেশা বটে। বাদী একজন ব্যবসায়ী। বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাজিরহাট বাজারে বাদীর মুরগি ও ফলের দোকান আছে। আসামীরা উক্ত এলাকার বখাটে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী হিসেবে অতীত হইতে বাদীর দোকান থেকে মুরগী আবার ফলের দোকান থেকে বিভিন্ন প্রকার ফল খরিদ করিয়া টাকা না দিয়ে চলিয়া যাইতো বাদী হেলাল কশাই বা তাঁর নিয়োজিত লোকজন আসামীদের নিকট টাকা চাইলে বাদীকে আসামীরা বিভিন্ন ভাবে হুকমি ধামকি দিয়া থাকিত। বাদী এ ব্যাপারে কাহাকেও জানাইলে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর নামে বিভিন্ন অপপ্রচার করিবে তাহাকে হেনস্তা করিবে বলিয়া বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে ভয়ভীতি দেখাইত। বাদীকে প্রতিমাসে আসামীদেরকে ১০ হাজার টাকা করিয়া টাকা দিতে হইবে অন্যথায় উক্ত বাজারে ব্যবসা করিতে দিবে না বলিয়া বাদীকে হুকমি দেয়। আসামীরা। আসামীরা সংঘবদ্ধ দল হিসেবে বিভিন্ন ক্ষমতার ছত্রছায়ায় হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেহ কোন প্রকার কথা বলতে নারাজ। ঘটনার তারিখের দিন আসামীরা বাদীর নিকট আসিয়া ১০ হাজার টাকা দাবী করে। বাদী উক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেই আসামীরা তাদের ফেসবুক আইডিতে এমন পোস্ট করে।

কশাই হেলাল কর্তৃক সাংবাদিকদের নামে এমন চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের সাংবাদিক সমাজ।

SHARE