আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভোলানিউজ.কম,
সতের দিনে দুই পরিবারের সাত সদস্যের মধ্যে ৬ জনই মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকি একজন চেতন রাই টানা ১৪ দিন হাসপাতালে থেকে বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে দুটি পরিবার ধ্বংসের কারণ মাশরুম।
পশ্চিবঙ্গের শিলিগুড়ির সামসিংয়ের পাহাড়ি ফরেস্ট কম্পাউন্ড বস্তিতে সাত সদস্যের দুটি পরিবার বাস করত। গত ১৭ এপ্রিল পাহাড়ি জলাভূমি থেকে কিছু মাশরুম সংগ্রহ করে আনেন চেতনের ভাই অন্তিম রাই। সেই মাশরুম রান্নাকরে খায় এলাকার দু’টি পরিবারের ৭ সদস্য। অবশিষ্টাংশ খায় একটি বিড়াল।
১৮ এপ্রিল আচমকা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে সাত জনই। বমি-পেট খারাপসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। দ্রুত তাদের মাল সুপার বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন শ্যাম রাই(৬৩)। বাকিদের স্থানান্তর করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একটি নার্সিংহোমে।
১৯ এপ্রিল শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয় আশামণি রাই(৬০) এর। ২০ এপ্রিল মৃত্যু হয় খালি ভুজেল। এরপর একে একে মৃত্যু হয় নবীন ভুজেল, মনদীপ ভুজেল ও অমিত রাই এর। শোকে ডুবে যায় গোটা বস্তি।
এরপর প্রশাসনের উদ্যোগে মৃতদেহগুলোকে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখানে ধরা পড়ে যে মাশরুমের বিষের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে কর্মশালা করে বস্তিবাসীকে বিষাক্ত মাশরুম চেনানো হয়।
(আল-আমিন এম তাওহীদ, ৪মে-২০১৮ইং)