নুরউদ্দিন আল মাসুদ
বাংলাদেশের সবচাইতে বড় দ্বীপ ভোলা জেলা।দ্বীপ জেলা ভোলা হলেও এতে যেমন নেই বিদ্যুতের সংকট তেমন নেই বরিশালের অন্যান্য জেলার মতো যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা।এ জেলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমান গ্যাসের ব্যবস্থা। রয়েছে ৩৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সরকারি পাওয়ারপ্লান্ট।
পাশাপাশি বেসরকারি পাওয়ারপ্লান্ট ও রয়েছে পর্যাপ্ত।তবে ভোলায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হলেও ভোলার মানুষকে কখনো কখনো লোড শেডিংয়ের দূর্ভোগের কবলে পড়তে হয়।ভোলার উৎপাদিত ৮০ ভাগ বিদ্যুৎ বরিশালের কয়েকটি জেলায় সরবারাহ হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অনেকেরই অভিমত।
ভোলা জেলার সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের একটি অংশ গুচ্ছগ্রাম।কাচিয়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড গুচ্ছগ্রাম এলাকার আয়ত্তাধীন। মেঘনা নদীর চর হতে এ অঞ্চলটি উদ্ভাসিত হয়েছে। অঞ্চলটিতে চার থেকে পাঁচ হাজার লোকের বসবাস।নদী হতে এ অঞ্চলটি সৃষ্টি হওয়ায় সরকারিভাবে ৪০০-৫০০ ঘর নির্মিত হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষগুলো কৃষিকাজ,গরুপালন ও মাছ শিকারের মাধ্যমেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। ফলে খাদ্যের জন্য তাদের বেশ একটা সমস্যায় পড়তে হয় না। তবে খাদ্য ও বাসস্থানের সমস্যা না হলে ও শিক্ষা ও চিকিৎসায় রয়েছে ব্যাপক সমস্যা এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে রয়েছে মাত্র ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।তবে এ অঞ্চলটিতে কমিউনিটি ক্লিনিক কিংবা সাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় অনেক ব্যক্তিকেই চিকিৎসাবিহীন মৃত্যু পথে গমন করতে হয়েছে বলে অনেকেরই অভিযোগ।পাশাপাশি গুচ্ছগ্রাম হতে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খেয়ানৌকা হওযায় সেখান থেকে সদর হাসপাতালে আসতে ও বেশ জটিলতা কাটাতে হয় এখানকার মানুষের।
গুচ্ছগ্রাম এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের মোঃ শাহাবুদ্দিন বলেন,আমার বৃদ্ধা বাবা চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন।বাবার রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট ওঠে।ইচ্ছা থাকা সত্তে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধার কারনে আমি বাবাকে সদর হাসপাতালে নিতে পারিনি। ফলে নিকটবর্তী চিকিৎসা সেবা না থাকায় আমার বাবাকে কষ্ট নিয়ে মরতে হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলটিতে বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যা হলেই অঞ্চলটি নিঝুম হয়ে যায়।ছেলেমেয়েরা রাতে পড়াশোনার সুযোগ পায় না।তাই ভোলা-১ আসনের এমপি জনাব তোফায়েল আহমেদের কাছে তাদের প্রানের দাবি বিদ্যুতের সুব্যবস্থা।