মোঃ আরিয়ান আরিফ।।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন। ফলে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষজন। কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় অসহায়ত্ব জীবন-যাপন করছে এসব শ্রমজীবি মানুষেরা। একদিকে লকডাউন অন্যদিকে জীবন- এই দুইয়ের মাঝে পড়ে সবচেয়ে বিপাকে রয়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন। তারা না পারেন কাজে যেতে, না পারেন কারো কাছে হাত পাততে। যেন তারা উভয় সংকটে। এসব অসহায় মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস। সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ অর্থায়নে অসহায় মানুষদের খুঁজে খুঁজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ইফতার সমগ্রী ও নগদ অর্থ পৌছে দিচ্ছেন গ্রীন ভয়েসের সবুজ বন্ধুরা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ভালোবাসার টানে নিস্বার্থভাবে এসব কাজ করছেন তাঁরা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেশের ৩১টি জেলায় ১২ শতাধিক পরিবারের মাঝে তৃতীয় দফায় ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
৭ মে (বুধবার) ভোলা জেলার তজুমদ্দিন থানার গ্রীন ভয়েস সাপ্তাহিক কর্মসূচি হিসেবে ৩০টি অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,ভোলা জেলা সমন্বয়কারী
এস. এম. সুমন, সদস্য জুয়েল, রাসেল, তারেক, আরিফ, সামজিদ, মুরাদ, জাহিদ, ইয়ামিন, সাজিদ প্রমুখ।
নগদ অর্থ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা শেষে
গ্রীন ভয়েস ভোলা জেলা শাখার সমন্বয়ক
এস. এম. সুমন বলেন, যখন খাবার নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে যাই তখন তাদের মুখের হাসি দেখে নিজেকে ধন্য মনে হয় এবং সেই সাথে সব কষ্ট ভুলে যাই। মনের মাঝে “গ্রীন ভয়েস” এর প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়, ইচ্ছে হয় এভাবে যেন সারাজীবন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারি।
“গ্রীন ভয়েস”র প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির জানান, গ্রীন ভয়েস শুধু একটি পরিবেশবাদী যুব সংগঠনই নয়। পরিবেশ সচেতনতার পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করি যেকোন দূর্যোগ বা মহামারী পরিস্থিতে অসহায়-গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে দেশজুড়ে চলা লকডাউনে আঁটকে পড়া অসহায় মানুষদের ঘরে গ্রীন ভয়েস এর পক্ষ থেকে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছি।
গ্রীন ভয়েস এর সাপ্তাহিক খাদ্য কর্মসূচিতে সহায়তা করেছেন বাংলাদেশ ইনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন) ও বাংলাদেশ_পরিবেশ_আন্দোলন(বাপা)।