মনপুরা প্রতিনিধিঃ-
মনপুরা হাসপাতাল থেকে রেফার পর ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা রত অবস্থায় বার বার জ্ঞান হারিয়ে পেলেছেন ধর্ষিতা অথচ আজও গ্রেপ্তার হয়নি মনপুরায় কলেজ শাখার ছাত্রলীগ সভাপতি ধর্ষক রনি।
উল্ল্যখ মনপুরা উপজেলায় সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিব হাসান রনি একই কলেজের ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মনপুরা থানায় রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ছাত্রী। মামলার এজহার ও ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী থেকে জানা যায়, ভিকটিম ও ছাত্রলীগ সভাপতির বাড়ি মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে চরযতিন গ্রামে। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করেন। এক বছর আগে ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন রাকিব হাসান রনি। এতে রাজি হননি কলেজছাত্রী। পরে ২০১৮ সালের ৬ই জুন কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাকিব। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ১৪ই এপ্রিল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ সভাপতি। গত সোমবার দুপুরে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে রাকিবের বাড়িতে আসতে বলে। বাড়িতে গেলে ওই দিনও ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন রাকিব। সেই সঙ্গে বিয়ে করবে না বলে ছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেয়। ওই সময় ছাত্রী ঘর থেকে বের হতে না চাইলে তাকে মারধর করেন রাকিব। পরে স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন কলেজছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রাকিব এলাকায় বেপরোয়াভাবে চলাচল করে। পথে-ঘাটে, স্কুল-কলেজে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। সে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তাই তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না। এলাকার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতারা তাকে সমর্থন করছে। এ বিষয়ে জানতে মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনিকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ফোরকান আলী বলেন, মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে কলেজছাত্রী। রনিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
মতামত দিন